সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সাহিত্য লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সিলভিয়া প্লাথ: জীবন ও সাহিত্য / Life of Sylvia Plath

হারিয়ে যাওয়া কথা গুলো হওয়াতে উড়তে থাকে, সারাদিন মানের ক্লান্ত ঘাম একা একাই পুড়তে থাকে। সিলভিয়া প্লাথ, বিশ শতকের সবচেয়ে  প্রশংসিত কবিদের একজন।  আত্মহত্যা করেন সিলভিয়া, মাত্র ৩০ বছর বয়সে। নিজের জীবন দিয়ে নিজের গোলাপ কবিতা গাছকে বুনে বানিয়ে পথ করে দিয়েছিল সিলভিয়া।  সিলভিয়া প্লাথ: Image Courtesy: Wikimedia Commons  সিলভিয়া প্লাথ। তাঁর জীবন, তাঁর সাহিত্য। C atalogue তৈরি করতে থাকেন নিজের মধ্যে। Singular verse তৈরি হয়, violent emotion এর ঘূর্ণন ওঠে, মৃত্যুর প্রতি তীব্র obsession, হতাশার আবেশ ঘিরে ধরতে থাকে।   নিউইয়র্ক টাইমস বুক রিভিউতে, জয়েস ক্যারল ওটস (Joyce Carol Oates) প্লাথকে  “one of the most celebrated and controversial of postwar poets writing in English.”  বলে বর্ণনা করেছেন। তীব্রভাবে আত্মজীবনীমূলক, প্লাথের কবিতাগুলি তার নিজের মানসিক যন্ত্রণা, সহকবি টেড হিউজের ( ted hughes) সাথে তার কাটাছেঁড়া বিবাহ, তার পিতামাতার সাথে তার অমীমাংসিত দ্বন্দ্ব এবং নিজের সম্পর্কে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি অন্বেষণ করে।  ওয়ার্ল্ড সোশ্যালিস্ট (world socialist) ওয়েব সাইটে, মার্গারেট রিস (ma

লিও টলস্টয় এবং তাঁর সমাজ চেতনা/ Leo Tolstoy And His Writings On Society

লিও টলস্টয় এবং তাঁর সমাজ চেতনা/ Leo Tolstoy And His Writings On Society সরকারের অবলুপ্তি এবং ভায়োলেন্সের অ্যান্টিডট হিসাবে রাষ্ট্রের অসারতা , এমন ভেবেছেন লিও তলস্তয়।  লিও তলস্তয়: Image Courtesy: Getty Images  “violence no longer rests on the belief in its utility, but only on the fact of its having existed so long, and being organized by the ruling classes who profit by it." হিংসা র এক উপযোগিতা আছে, আর তা নির্ভর করে কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের বিশ্বাসের উপর । আমার আপনার মতের উপর নির্ভর করে না, তবে এটি কেন এতদিন বিদ্যমান সমাজে? এর থাকার একমাত্র কারণ এর  দ্বারা লাভবান হবার সম্ভাবনা একমাত্র শাসক শ্রেণীর। শাসক শ্রেণী দ্বারা সংগঠিত হিংসা। “to be led by a coward is to be controlled by all that the coward fears,” - কাপুরুষের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ, কাপুরুষের দ্বারা পরিচালিত, আর কাপুরুষের দ্বারা ভীতি প্রদর্শন-  অক্টাভিয়া বাটলার (o ctavia b)  লিখেছেন নেতাদের বেছে নেওয়ার বিষয়ে, তার তীব্র উপদেশ।  “to be led by a fool is to be led by the opportunists who control the fool.” - একজন বোকার ন

গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ: এক অনন্য জীবনবোধ/ Gabriel García Márquez: The Life And Magic Realism

জীবন যেন এক নতুন  সুইপিং ইউটোপিয়া (sweeping utopia): উপলক্ষ্য: গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের নোবেল  গ্রহণের পরবর্তী ভাষণ/G abriel García Márquez’s nobel prize acceptance speech গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, এক অনন্য সাহিত্যিক। এক জীবনবোধের অভিব্যক্তি।  “ where no one will be able to decide for others how they die, where love will prove true and happiness be possible.” গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ: Image Courtesy: Wikimedia Commons  বিশ্বের প্রতি এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি, অদম্য  - যেখানে কেউ অন্যে কারো জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করবে না,  অন্য কারো হয়ে তার জীবনের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না, সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে  কিভাবে কেউ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে,  যেখানে প্রেম সত্য বলে প্রমাণিত হবে,  জীবন হবে সুখময়। ৮ই ডিসেম্বর, ১৯৮২ সালে, লেখক হিসেবে তার অসম্ভব্য এক যাত্রা শুরু হয় আর তার কয়েক দশক পরেই, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ (gabriel garcía márquez) (মার্চ ৬, ১৯২৭-এপ্রিল ১৭, ২০১৪) সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।  সারাজীবন লেখায় ডুবে থাকা এক মানুষ নিজের সমস্ত  অন্তর দিয়ে, সমস্ত সত্তা নিয়

সাহিত্যের ধারা 'অ্যাফ্রোফিউচারিজম' / Genres ‘afrofuturism’

সাহিত্যের ধারা 'অ্যাফ্রোফিউচারিজম' /  Genres ‘afrofuturism’   আফ্রোফিউচারিজম (afrofuturism) নিপীড়িত মানুষের অভিজ্ঞতার কথা বলে। কী বলে এই সাহিত্যের ধারা। শিল্পীর কল্পনায়|Image Courtesy: solen feyissa/ wikimedia commons (cc by-sa 2.0) আফ্রোফিউচারিজম (afrofuturism) নিপীড়িত মানুষের অভিজ্ঞতার মধ্যে নিহিত, তাই এটি সাধারণত শোষণমূলক ব্যবস্থাকে নির্দেশ করার চেষ্টা করে এবং আধুনিক প্রতিষ্ঠানগুলি যেভাবে জাতি এবং লিঙ্গকে নিয়ন্ত্রণের উপায় হিসাবে ব্যবহার করে তার দিকেই ইঙ্গিত করে। নতুন সাই-ফাই মিউজিক্যাল নেপচুন ফ্রস্ট (neptune frost) , কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ দিয়ে নির্মিত রুয়ান্ডার গ্রামের গল্পের সেট যেন এক, যেখানে নতুন  কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ গল্প বলে ; একটি ইন্টারসেক্স হ্যাকার (intersex hacker) এবং একটি কোল্টান মাইনরের ( coltan miner) গল্প বলে তাদের যারা  অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেয়। পুরো কাহিনী জুড়ে এক অ্যানার্কি ( Anarchy)। নৈরাজ্য জুড়ে আছে এই বিদ্রোহের মূলে। গণ অভ্যুত্থান হয়ে ছিল তাই। ১৯৯৮ থেকে শুরু করে, বিভিন্ন ক্ষেত্রের পণ্ডিত, শিল্পী এবং কর্মীরা শব্দটির অর্থ

রুমি ও তাঁর কবিতা / Rumi and his Poetry

প্রেম নয়, বরং বলা ভালো অপ্রেম আর প্রেমের মধ্যে প্রেমকে বেছে নেওয়ার শিল্প, প্রেমকে বেছে নেওয়ার আর্ট : রুমির অন্টিডোট,  মানুষের ট্র্যাজেডির প্রতি। জালালউদ্দিন মহম্মদ রুমি: Image Courtesy: wikimedia common “you’ll long for me when i’m gone… you’ll kiss the headstone of my grave… kiss my face instead! "আমি চলে গেলে তুমি আমার জন্য আকুল হবে... তুমি আমার কবরের শিরে চুম্বন করবে... পরিবর্তে আমার মুখ চুম্বন কর! “what exists, exists so that it can be lost and become precious,” - যা আছে, যা বিদ্যমান, তা আছেই  যাতে তা হারিয়ে যায় আর মূল্যবান হয়ে ওঠে - লিসেল মুলার (lisel mueller) তার ছোট, অত্যাশ্চর্য কবিতায় লিখেছেন আমাদের নশ্বর জীবনের অর্থ কী। বর্ণনা করেছেন এভাবেই। মূল্যবান হয়ে ওঠা—এটাই প্রেমের সার, প্রেমের এক ও একমাত্র লক্ষ্য, ভালোবাসার সত্য, ভালোবাসার সবথেকে বড় পুরস্কার।  মৃত্যুর প্রতিদান।  একটা মিরাকেল, একটা ম্যাজিক - এই প্রেম, এই ভালোবাসা - মানুষের জীবনের এক অলৌকিক ঘটনা - একটা ট্রান্সইয়েন্স, এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে কেবল সহনীয়ই নয় বরং সুন্দর করে তোলে। হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগায়-  যখন

এডগার অ্যালান পো সিরিজ ১ l Edgar Allan Poe Series

এডগার অ্যালান পো এর "দ্য মার্ডারস ইন দ্য রু মর্গ"- “The Murders in the Rue Morgue” গোয়েন্দা গল্পের প্রথম আত্মপ্রকাশ হল এবং যাত্রা শুরু হল গোয়েন্দা কাহিনীর।  এডগার অ্যালান পো: Image Courtesy : pixabay  ১৮৪১ সালের প্রথম দিক তখন, এডগার অ্যালান পো (Edgar Allan Poe) ফিলাডেলফিয়ার এক জনপ্রিয় প্রকাশনা গ্রাহামস ম্যাগাজিনের (Graham’s Magazine) সম্পাদক হিসাবে কাজ করছেন, পত্রিকায় একটি গল্প জমা দিয়েছিলেন, বহু খেটে গল্পটি লিখেছেন পো, যার নাম ছিল "মার্ডার্স ইন দ্য রু ট্রায়ানন " - “Murders in the Rue Trianon.” প্যারিসের রাস্তার পাশে একটি বাড়িতে একটি ভয়ঙ্কর জোড়া-খুনের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছেন যে বাড়ি থেকে একজনের কণ্ঠস্বর শোনা গেছে, তবে একজন বক্তা ঠিক কী ভাষা ব্যবহার করছেন সে বিষয়ে কেউ একমত হতে পারছে না। ভাষার ধাঁধায় গুলিয়ে যাচ্ছে গোটা ঘটনা। বেশ কিছু ক্লুও পাওয়া গেছে, কিন্তু সেগুলো প্রতিটি পরবর্তীটির চেয়ে আরও বিভ্রান্তিকর। প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত। পুলিশ বিভ্রান্ত। কিন্তু সি. অগাস্ট ডুপিন (C. Auguste Dupin) একজন শেভালিয়ার (chevalier) এব

সিলভিয়া প্লাথ :এক অন্ধকার নিয়ে বেঁচে থাকার নাম / Sylvia Plath on Living with the Darkness

x এক গভীরতর অন্ধকার নিয়ে বেঁচে থাকা আর হালকা আলোর সুড়ঙ্গে শিল্পের আবছায়া দেখতে থাকা, যদি মাথার মধ্যে সেই বারবার করে উত্তেজিত করে চলা অংশগুলিকে বন্ধ করতে পারি এবং চলে যেতে পারি সেই সময়কালকে পেরিয়ে, সাহসের সঙ্গে পেরিয়ে যেতে পারি সেই সময়কে, তখন মুখোমুখি হতে হবে এক গভীর দর্শনের। সিলভিয়া প্লাথ : Image Courtesy : Wikimedia Common  বাইশ বছর বয়সী সিলভিয়া প্লাথ (২৭ অক্টোবর, ১৯৩২ - ফেব্রুয়ারী ১১, ১৯৬৩) তার মাকে  লিখছেন, এক শীতের ওমে মোড়া জানুয়ারি মাস, লিখছেন সিলভিয়া, তারা উভয়েই এক অন্ধকারের মধ্যে বিরাজ করছেন, আত্মার শুদ্ধতার এক অপরিসীম অন্ধকার। অন্ধকার আরও তীক্ষ্ণতর হচ্ছে। প্রবেশ করছেন তারা সেই অন্ধকারে। তার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছেন তারা দুজনেই। যেন পৃথিবীর জন্ম হয়নি তখনও, যেন তার আগের এক সূক্ষ্ম আলোর সন্ধান করছেন তারা। যেন সূক্ষ্ম আলোর রেখার থেকে যাবার কথা ছিল। বিজ্ঞান কেবলমাত্র সেই মাধ্যম,  যার টুল বা সরঞ্জামগুলির একে অপরের সাথে একত্রিত হতে  শুরু করেছিল আমাদের ইতিহাসের প্রেক্ষাপট তৈরী করবার জন্য।  যার সাহায্যে আমরা কী, আমরা কে, বা আমরা কিভাবে এসেছি পৃথিবীতে, কি ই বা আমরা আর ক

তরু দত্ত: সাহিত্যের খোঁজ ও বিন্যাস / Life Of Toru Dutta

আমার বিশেষ আগ্রহের বিষয়বস্তু তরু দত্ত। প্রথম ভারতীয় মহিলা সাহিত্যিক যিনি ইংরেজি এবং ফরাসি  ভাষায় সাহিত্য রচনা করেন।  তরু দত্তের সাহিত্য এবং জীবন , এই আমার লেখার বিষয়।  কয়েকটি  পর্বে  লিখব  লেখিকার  জীবনী।   Image Courtesy: wikipedia.org        এই কাহিনী শুরু হয়েছে  গত শতকের ভারতবর্ষে, যে ভারতবর্ষের পটভূমিতে  দিগ্বিজয়ের ইতিহাস গাঁথা থাকে। এমনই এক সময়ের গল্প এটি। গল্প নামের এই  সত্যি কাহিনী সেই শতকের  যে শতকে মহিলাদের জন্য ঘর-সংসারের ইচ্ছাহীন জীবন বেছে  দেওয়া হ'তো, ঠিক সেই সময়, সেই স্থির সময়ের বৈপরীত্য - চলমান সময়দাঁড়িয়ে  প্রকৃতপক্ষে ইতিহাসের এক সুবর্ন লগ্নে সাহিত্যের এক উদ্বেল সূচনা হয়েছিল। "moving-contrasts" এর ভিতরে আর এক ধরণের বৈপরীত্য কাজ করত, এই বৈপরীত্যের ভিতরে একটা গল্প সোজাসুজি চলতে থাকে, আর আর একটা গল্প চলতে থাকে  উল্টোপথে। ভারতীয় সমাজ সংস্কৃতিতে তখন শুরু হয়ে গেছে কাহিনীকে গেঁথে নেবার ছাপ।   আমাদের বিষয়  ভারতের মহিলা সাহিত্যিকদের  মধ্যে বিদেশী           ভাষায় লেখালেখি। ইংরেজিতে লেখালেখি শুরু হয়েছিল কেবলমাত্র     উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে, আর তা শুরু করবার পুরোভাগে

নিজের সঙ্গে একা : এমিলি ডিকিনসন / Emily Dickinson : Women Liking Their Own Company

নিজের সঙ্গে থাকতে  চাওয়া কি একান্তই অপরাধ? সব সময় কি  লোকজন সংসর্গে থাকতেই হবে ?  কোনোভাবেই থাকা যায় না কি একা ? একদম একা, নিজের সঙ্গে একা ? "… আমি আমার বাবার জমি ডিঙিয়ে  কোনও বাড়ি বা শহরে যেতে পারি না," এমিলি ডিকিনসন লিখছেন তাঁর চিঠিতে, আর এই চিঠি লেখা হয়েছে লেখক, অবলিশনিস্ট  ও সৈনিক  কর্নেল থমাস ওয়েন্টওয়ার্থ  হিগিনসনকে।  একটি চিঠির  জবাবে তাঁকে এরকমটা লিখেছিলেন এমিলি।  তাঁকে হিগিনসন তিনবার বোস্টনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য, বিভিন্ন সাহিত্য বক্তৃতাগুলিতে অংশগ্রহণ করা এবং  অন্যান্য কবিদের সাথে সাহিত্যের আলোচনার জন্য সাক্ষাৎ। হিগিনসনের সঙ্গে এমিলি যোগাযোগ রাখতেন নিয়মিতই, তিনি ছিলেন বহির্জগতের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম, যার সাথে তিনি তাঁর কবিতাও ভাগ করে নিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও তিনি তাঁর আমন্ত্রণগুলি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, এমনকি অন্য সমসাময়িক কবিদের সাথে দেখাও করতে চাননি। এমিলি ডিকিনসন Image Courtesy : wikipedia.org  সমস্ত মহিলারা নাকি  বিপজ্জনক! আমরা  যদি  বেশিরভাগ ট্রাডিশনাল টেক্সটগুলিতে একটু চোখ বোলাই তাহলেই  একথার সত্যতা যাচাই করা হয়ে যায়। বিশেষত যদি অনুসরণ করি পুরুষদের