সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সাহিত্যের ধারা 'অ্যাফ্রোফিউচারিজম' / Genres ‘afrofuturism’

সাহিত্যের ধারা 'অ্যাফ্রোফিউচারিজম' /  Genres ‘afrofuturism’  


আফ্রোফিউচারিজম (afrofuturism) নিপীড়িত মানুষের অভিজ্ঞতার কথা বলে। কী বলে এই সাহিত্যের ধারা।




সাহিত্যের ধারা 'অ্যাফ্রোফিউচারিজম' /  Genres ‘afrofuturism’

শিল্পীর কল্পনায়|Image Courtesy: solen feyissa/ wikimedia commons (cc by-sa 2.0)



আফ্রোফিউচারিজম (afrofuturism) নিপীড়িত মানুষের অভিজ্ঞতার মধ্যে নিহিত, তাই এটি সাধারণত শোষণমূলক ব্যবস্থাকে নির্দেশ করার চেষ্টা করে এবং আধুনিক প্রতিষ্ঠানগুলি যেভাবে জাতি এবং লিঙ্গকে নিয়ন্ত্রণের উপায় হিসাবে ব্যবহার করে তার দিকেই ইঙ্গিত করে।


নতুন সাই-ফাই মিউজিক্যাল নেপচুন ফ্রস্ট (neptune frost) , কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ দিয়ে নির্মিত রুয়ান্ডার গ্রামের গল্পের সেট যেন এক, যেখানে নতুন  কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ গল্প বলে ; একটি ইন্টারসেক্স হ্যাকার (intersex hacker) এবং একটি কোল্টান মাইনরের ( coltan miner) গল্প বলে তাদের যারা  অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেয়। পুরো কাহিনী জুড়ে এক অ্যানার্কি ( Anarchy)। নৈরাজ্য জুড়ে আছে এই বিদ্রোহের মূলে। গণ অভ্যুত্থান হয়ে ছিল তাই।



১৯৯৮ থেকে শুরু করে, বিভিন্ন ক্ষেত্রের পণ্ডিত, শিল্পী এবং কর্মীরা শব্দটির অর্থ পরিমার্জিত করেছেন। ব্রিটিশ-ঘানাইয়ান লেখক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা কোডো এশুনের (Kodwo Eshun) ১৯৯৮ সালের বই "ব্রিলিয়ান্ট দ্যা সান: অ্যাডভেঞ্চারস ইন সোনিক ফিউচার ইলেকট্রনিক মিউজিক"- "Brilliant Than The Sun: Adventures In Sonic Future Traces The Origins And Influence Of Electronic Music এই সাহিত্য ধারার উৎপত্তি এবং প্রভাবের সন্ধান করে।  তিনি অন্বেষণ করেন যে কীভাবে জ্যাজ, ডাব, টেকনো, ফাঙ্ক এবং হিপ-হপ (jazz, dub, techno, funk, hip-hop) রূপান্তরিত হতে থাকে! সঙ্গীতের ভাষার রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন দেখেছেন তিনি। স্বপ্ন দেখেছেন এই টুল (tool), সংস্কৃতি এবং অভিজ্ঞতা গুলো সমৃদ্ধ করতে থাকবে আগামী পৃথিবীর সাহিত্য আর সঙ্গীতের ভাষা। একক সংগীত ভাষা গড়ে তোলার চেষ্টা  শুরু হয়েছে। ইলেকট্রনিক সদৃশ শব্দ তৈরি হচ্ছে, আফ্রিকার ডায়াসপোরে (diaspora ) পরিবর্তন বা ট্রান্সফরমেশন ( transformation) এর সে এক হৈ হৈ কাণ্ড।আমেরিকান সমাজ বিজ্ঞানী অ্যালোন্ড্রা নেলসন (Alondra N elson) শিল্পী, পণ্ডিত এবং সাধারণ মানুষের জন্য এক তালিকা প্রস্তুত করেছেন। আগামী বিশ্ব - "the world to come” বোঝার জন্য এই তালিকা। বিশ্বের কাছে আফ্রিকান ভিসন (african vision)অন্বেষণ করার জন্য এই তালিকা।



নেলসন ২০০২ সালে সোশ্যাল টেক্সট (social text)  তৈরীর পথ প্রশস্ত করেন,  একাডেমিক জার্নালে (academic journal)  একটি যুগান্তকারী বিশেষ সংখ্যা সম্পাদনা করেন, যাকে বলে গ্রাউন্ড ব্রেকিং ( ground breaking) উদ্যোগ! প্রবন্ধের এই সংগ্রহটি যে ধারণাটিকে যুক্তি যোগায় তা হলো যে প্রযুক্তির দ্বারা জাতি এবং লিঙ্গ পার্থক্য দূর করা হবে, "ডিজিটাল যুগের প্রতিষ্ঠাতা কল্পকাহিনী"- “the founding fiction of the digital age”।



আফ্রোফিউচারিজমকে জল্পনা এবং মুক্তির মানে সমস্ত স্পেকুলেশন (speculation) আর লিবারেশনের ( liberation) ইন্টারসেকশন ( intersection) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করার প্রবণতা রাখাই ভালো। যা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মানুষের  দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে শুধু তাদেরই কথা বলে।



কেন আফ্রোফিউচারিজম এতো জরুরী:


যদিও আফ্রোফিউচারিজম তার ভবিষ্যৎ এর ক্রিয়াকলাপের চিত্রগুলি এক ধারণাকেই মাত্র জাঁক করে বলে, এর অর্থ এই নয় যে এই সমস্তই একটি কল্পিত ভবিষ্যত থেকে আঁকা।  লিবারেশন (liberation) সম্পর্কে যে ভাবনা বা যে মূল উপাদান তা আসলে দীর্ঘকাল ধরে কালো মানুষের উপর শোষণ নিপীড়নের অভিজ্ঞতার ফসল । দীর্ঘ  দাসত্ব আর ঔপনিবেশিকতার যন্ত্রণাতে  হারিয়ে যাওয়া যে জ্ঞান ভান্ডার, যে মনন শীলতার চর্চা তা পুনরুদ্ধার করতে চায় আফ্রোফিউচারিজম । তারা সমসাময়িক বা কন্টেম্পরারি (contemporary) বিষয়গুলোকে অনুশীলনের মধ্যে রাখতে চায়। অত্যন্ত কঠোর সমালোচনা করে সেই সব সামাজিক চর্চার বিষয়গুলিকে যা মানুষকে আরও প্রান্তিক করে চলেছে।


যদিও অক্টাভিয়া বাটলারের (Octavia Butler) উপন্যাসের সিরিজ ডিস্টোপিয়ান (dystopian) আমেরিকাকে প্রেক্ষিতে বা ব্যাকড্রপে (backdrop) রাখা হয়েছে। যদিও সম্প্রদায়ের নিয়ত চর্চাকে, সামাজিক অনুশীলনগুলিকে ভিত্তি করা হয়েছে, কমিউনিটি প্র্যাক্টিস এর (community practices) স্থায়িত্ব নির্ণীত হয়েছে, মূল প্রোথিত হয়েছে দীর্ঘ স্থায়ীত্ব চেতনায়, সাস্টেনিবিলিটির (sustainibility) কথা ভাবা হয়েছে, লিঙ্গ সমতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা মূলধন করেছেন এই উপন্যাস সিরিজে।


মূলত অন্বেষণ করে চলে কালো মানুষের যুথবদ্ধ ইতিহাসের, তাঁদের সংগ্রামের। এর মূলে থাকা উপেক্ষিত লোককাহিনী এবং ভৌতিক গল্পগুলিকে পুনরায় কল্পনা করে ব্যবহার করা হয়েছে উপন্যাসে,  কালো মানুষের অবিশ্রান্ত সংগ্রামের ট্রমার শিকড় অন্বেষণ করে এই ধারা।


এর সমালোচকরা  সমাজের বিভিন্ন দিকগুলির পুনর্মূল্যায়ন করবার কথা বলেছে বারবার। বলতে গেলে  যা চিরাচরিত তাকে নতুন ভাবে দেখতে বাধ্য করে পাঠককে।   মানচিত্র এবং ঘড়ি সম্পর্কে রাশেদাহ ফিলিপসের ( Rasheedah Phillips’) নিবন্ধে সময় - অঞ্চল বা টাইম জোন ( time zone)  কীভাবে ক্ষমতা এবং নিপীড়নকে প্রকাশ করে, অন্বেষণ করে, বলতে গেলে ম্যানিফেস্ট (manifest ) করে। শেষ পর্যন্ত, আফ্রো ফিউচারিস্ট সাহিত্য ধারা পাঠককে ভাবায়, ভাবতে সাহায্য করে, ভাবতে বলে যে কীভাবে আমাদের চারপাশের অবস্থানকে, চারপাশের  সমাজকে, সবার জন্য, সমস্ত মানুষের জন্য এক নিরাপদ বেষ্টনীর রচনা করতে হবে।  


কল্পবিজ্ঞান এবং আফ্রিকান ইতিহাসের উপাদানের সাথে যুক্ত করা হয়েছে, ব্যাখ্যা করা হয়েছে এই ধারাটিকে। ব্যাখ্যা করা হয়েছে উপেক্ষিত উপাদানগুলোকে । যদিও শব্দটির উদ্ভাবন ঘটেছিল ২৮ বছর আগেই, তৈরি হয়েছিল এই  সাহিত্য- ইতিহাসের ধারা, সমগ্র ইতিহাস জুড়ে কালো মানুষের দ্বারা তৈরি সাহিত্যের ধারা ।


ফিল্মটি - এটির "অ্যাফ্রোফিউচারিস্ট ভিশন" - “afrofuturist vision” এর জন্য প্রশংসিত হয়েছিল- আফ্রোফিউচারিজমের রূপান্তরমূলক জল্পনা-কল্পনার সাথে জড়িত একটি সাম্প্রতিক কাজগুলির মধ্যে একটি, এই ট্রান্সফরমেটিভ স্পেকুলেশন (transformative speculation ) একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন, একটি কালচারাল মুভমেন্ট (cultural movement)  এর জন্ম দেয়।  বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বা সায়েন্স ফিকশন ( science fiction), জাদু বাস্তবতা বা ম্যাজিক রিয়ালিজম ( magic realism) , অনুমানমূলক কথাসাহিত্য বা স্পেকুলেটিভ ফিকশন (speculative fiction) এবং আফ্রিকান ইতিহাসের উপাদানগুলি গ্রথিত আছে এই বিশেষ সাহিত্যর ধারায়৷  এই আন্দোলনের টেনে নেওয়া হয়েছে একটি আরো বেশী মাত্রায় ন্যায়সঙ্গত বিচার ব্যবস্থা মূলক সমাজ, সাম্য - সমন্বয় - বিশ্ব তৈরি করার আকাঙ্ক্ষা। আন্ডারগীর্ডিং (undergirding) করা হয়েছে, একেবারে নীচু তলার মানুষকে সুরক্ষিত করা হয়েছে সাম্যের এক চেইন (chain) শৃঙ্খলে। 


ইতিহাস জুড়ে কালো মানুষদের দ্বারা তৈরি একাধিক ধরণের কাজের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে এই সাহিত্যর ধারা।  ১৯৯৪ সালে, সাংস্কৃতিক সমালোচক মার্ক (Mark Dery)  "ব্ল্যাক টু দ্য ফিউচার" - "Black To The Future" শিরোনামে একটি প্রবন্ধে "অ্যাফ্রোফিউচারিজম" শব্দটি ব্যবহার করেন।  তিনি লিখেছেন, কালো মানুষদের কাছে "সংস্কৃতি, প্রযুক্তি এবং ভবিষ্যতের অনেক কিছু সম্পর্কে বলার মতো অন্যান্য গল্প রয়েছে"- “other stories to tell about culture, technology and things to come”।


বিনোদনশিল্পী এবং লেখক জ্যানেল মোনা ( Janelle Monáe)  দেহের রূপক বা মেটাফোর (metaphor)  হিসাবে অ্যান্ড্রয়েডের ( android) ব্যবহার করেছেন,  ব্যবহার করেছেন তার সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে, ব্যবহার করেছেন শোষক- শোষিতের চিরাচরিত দ্বন্দ্ব কে প্রতিফলিত করতে। মুক্তির উপায় খুঁজেছেন। জাতি বৈষম্য এবং লিঙ্গসাম্যের সাথে যুক্ত করেছেন, শতাব্দী ব্যাপী নিপীড়নের সমালোচনা করেছেন। প্রস্তাব করেছেন পর্যালোচনার। একইভাবে, জন জেনিংসের (John Jennings) গ্রাফিক নভেল গুলো (graphic novel) মূলত উপেক্ষিত লোককাহিনীর সংকলন।  কালো মানুষের  ইতিহাসের মূলে থাকা  বঞ্চনার গল্পগুলিকে পুনরায় একত্রিত করা হয়।  অন্বেষণ  করে কালো মানুষদের ট্রমাকে (trauma)। কল্পনা করে  ভৌতিক কিংবা আধিভৌতিক উপাদানগুলোকে, নিবিষ্ট করে মূল কাহিনীর সঙ্গে। 





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস বা মগ্নচৈতন্য / What is Stream of Consciousness?

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস ? সাহিত্য ধারায় এটি এক রীতি, বলতে গেলে লেখনীর এক ধরণ। সাহিত্যের আলোচনায়  কিংবা সমালোচনায় 'স্ট্রিম অফ কনসাসনেস'- ‘Stream of Consciousness’  বা মগ্নচৈতন্য শুধুমাত্র এক শব্দ নয়, এ এক অনন্য, এক স্বতন্ত্র জঁর  ।  মগ্নচৈতন্যের   স্রোত সাহিত্যসৃষ্টির এক অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন ধারা,  যা কিনা  বিংশ শতাব্দীর কিছু বিখ্যাত লেখক   নিযুক্ত এক স্বতন্ত্র লেখন রীতি। নিজেদের লেখনীতে কিছু ঘটনা পরম্পরাকে  বর্ণনা করতে ব্যবহার করেছিলেন তারা ।  কিন্তু '  মগ্নচৈতন্য '  কী?  কেনই বা  এটি একটি 'ধারা' বা ' জঁর' ?  কিছু  পরিচিতি দিলাম বটে শুরুতে কয়েকটি শব্দকে আশ্রয় করে, তবে  বিস্তারিত আলোচনা  এগোবে আস্তে আস্তে।  এই আপাত সাধারণ এবং একইসঙ্গে ব্যাপকভাবে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা যুক্ত , সাহিত্যিক টার্মটির ধারণা  পরিষ্কার করতে সহায়তা করতে পারে হয়ত এই  আলোচনা ।   Image Courtesy: Steve Jhonson:pixels.com/free image প্রকৃতপক্ষে...

পৃথিবীর দীর্ঘতম বাস রুট - কলকাতা থেকে লন্ডন / The World’s Longest Bus Route- From London To Kolkata

পৃথিবীর দীর্ঘতম বাস রুট - কলকাতা থেকে লন্ডন / The World’s Longest Bus Route- From London To Kolkata কলকাতা থেকে লন্ডনে যাবেন? বাসে চেপে ? ঠিক এইরকমই এক পরিকল্পনা করা হয়েছিল একবার... লন্ডন - কলকাতা - কলকাতা - লন্ডন , বাস সার্ভিস তাও    আবার লাক্সারি    বাস সার্ভিস। চমকে  উঠলেন    নাকি ? তা চমক লাগানো কথা বটে ! খাস কলকাতা থেকে বাস নিয়ে যাবে কিনা সুদূর লন্ডন ! হ্যাঁ , সত্যি।   বাস বটে একখানা। নাম তার এলবার্ট।   খাসা ট্যুর প্ল্যান হয়েছিল। কি দুঃখ হচ্ছে ? যেতে পারবেন না তাই ?  এত দুঃখ করার কিচ্ছু    নেই , সেই বাসে    এখনও চড়তে পারেন আপনি। কি বলছেন , তাই আবার হয় নাকি ? খুব    হয়। কিন্তু একটু টাইম মেশিনে চড়ে বসতে হবে যে !  Image  Courtesy: reddit.com  ১৯৬০   সালে   কলকাতা   থেকে ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন...

বার্ট্রান্ড রাসেল : সাহিত্যের কথা/ Bertrand Russell And Writing

বার্ট্রান্ড রাসেল : সাহিত্যের কথা/ Bertrand Russell And Writing   সুখ কি কোনো গোপন বিষয় ? সুখের ও নাকি আছে গোপন চাবিকাঠি? স্বয়ং বার্ট্রান্ড কি খুঁজে পেলেন সিক্রেট অফ হ্যাপিনেস ?  “let your interests be as wide as possible, and let your reactions to the things and persons that interest you be as far as possible friendly rather than hostile.” অন্ধকার সময়ে, যা  বারবার বাঁচিয়েছে দিয়েছে মনুষ্য সমাজকে তা হল একে অন্যের প্রতি নিঃস্বার্থ নিবেদন, সততা এমনই এক ক্রিয়াভান্ড যাকে বলব এ্যাকশান অফ আনসেলফিং - নিজেকে বাদ দিয়ে  বিশ্বের  জন্য সহজাত ভালোবাসা, যা কিনা হবে ইন্সটিনকটিভ, যা হবে  সহজাত। এই ওয়াকফুলনেস কার্য কারণ হয়ে ওঠে সুখের, আমাদের সবার সুখের ;  সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে থাকি অন্য কারো সংগ্রামে, প্রসারিত করি মনকে,  আলোকবর্ষ দূরের ঝকঝকে গ্যালাক্সি -  ড্যাজলিং গ্যালাক্সি আবিষ্কার হতে থাকে, আমাদের  জানালার বাইরে গাছে কাঁপন ধরেছে, ধীরে ধীরে বারেবারে কেঁপে উঠছে তারা। আমরা মিরর ইমেজ তৈরী করতে থাকি আয়না-চিত্র আমাদের মনের কথা বলে ওঠে ক...