সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

কলকাতা থেকে ব্যাঙ্গালোর বিমান যাত্রা, কি হয়েছিল বিমানচালকদের /  Flight from England to Bangalore - What Happened To Aviators 

কলকাতা থেকে ব্যাঙ্গালোর বিমান যাত্রা, কি হয়েছিল বিমানচালকদের /  Flight from England to Bangalore - What Happened To Aviators   ১৯২৯ সাল, দুটি বিমান, দুজন বিমানচালক ইংল্যান্ড থেকে বেঙ্গালুরুতে উড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। ননস্টপ (nonstop) অর্থাৎ একবারও কোথাও না থেমে। কী হয়েছিল সেদিন? পৌঁছতে পেরেছিল কি তারা তাদের গন্তব্যে? আর্থার জি জোন্স উইলিয়াম : Image Courtesy: wikimedia commons [public domain]  আর্থার জি জোন্স-উইলিয়ামস ( Arthur G Jones-Williams) এবং নরম্যান জেনকিন্স (Norman Jenkins)  ক্রানওয়েল থেকে বেঙ্গালুরুতে উড়ে যাবার চেষ্টা করেছিল। কোথাও না থেমে, কোথাও হল্ট (hault) না করে, একদম ননস্টপ ফ্লাইট চালিয়ে বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সফল হয়নি তারা।   জন আলকক ও আর্থার ব্রাউন: ভাইকেরস ভিমি বম্বার বাই প্লেন (vickers vimy bomber biplan), জুন ১৯১৯: Image Credit: wikimedia commons [public domain]. বিশের দশক ছিল পশ্চিম বিশ্বের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সময়। বীরবিক্রমে গগনচুম্বী ইমারত বানাতে ব্যস্ত তখন দেশের সরকার। আশাবাদের বা অপটিমিজমের (optimism ) সময় তখন।  প্রথম বিশ্বযুদ্ধের

ভারতে পিকনিকের খাবারের বৈচিত্র্যময় ইতিহাস / The Diverse History Of Picnic Food In India

  ভারতে পিকনিকের খাবারের বৈচিত্র্যময় ইতিহাস / The Diverse History Of Picnic Food In India ভারতে  কিরকম ভাবে হয় পিকনিক। কিভাবেই বা হতো ব্রিটিশ আমলের পিকনিক? মহাভারতের যুগেও কি হতো পিকনিক?  পিকনিক: Image Courtesy: Getty Image  মহাভারত থেকে ব্রিটিশ রাজ - বাড়ির বাইরে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া , না, না কোনো রেস্তোরাঁর কথা বলছি না, বলছি পিকনিকের (picnic) কথা,  বাংলায় চড়ুইভাতি বলি যাকে। ছোটবেলার পিকনিকের স্মৃতি রাজত্ব করছে এখনও,আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহু যুগের ঐতিহ্য এই চড়ুইভাতি এখনও টিকে আছে বহু বদলের পরেও।  শুধুমাত্র মেনু পরিবর্তিত হয়েছে,পরিবর্তিত হয়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর চরিত্র, ভৌগলিক দূরত্বের সাথে আলাদা হয়েছে বিভিন্ন  চড়ুইভাতির রকম - সকম, খাবারের মেনুর। আশি কিংবা নব্বই দশকের প্রকাশিত হওয়া কোনো গল্পের সিরিজে, সিরিয়ালে, উপন্যাসে, কিংবা রম রম করে  হল গুলোতে চলা সিনেমাতে  পক্ষে মেয়েদের রঙিন মাসিক পত্রিকাতে  পিকনিকের উল্লেখ , ছবি থাকতই থাকত। বড় বেলায় দেখে ছোটবেলার পিকনিকের ছবি। কিন্তু  একটা জিনিস নিয়ে দুঃখ আমার বরাবরই থেকে  গেছে , ছোটোবেলার পিকনিকগুলিতে রঙ্গিন বাহারি ম্যাগাজিনের

গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ: এক অনন্য জীবনবোধ/ Gabriel García Márquez: The Life And Magic Realism

জীবন যেন এক নতুন  সুইপিং ইউটোপিয়া (sweeping utopia): উপলক্ষ্য: গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের নোবেল  গ্রহণের পরবর্তী ভাষণ/G abriel García Márquez’s nobel prize acceptance speech গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, এক অনন্য সাহিত্যিক। এক জীবনবোধের অভিব্যক্তি।  “ where no one will be able to decide for others how they die, where love will prove true and happiness be possible.” গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ: Image Courtesy: Wikimedia Commons  বিশ্বের প্রতি এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি, অদম্য  - যেখানে কেউ অন্যে কারো জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করবে না,  অন্য কারো হয়ে তার জীবনের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না, সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে  কিভাবে কেউ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে,  যেখানে প্রেম সত্য বলে প্রমাণিত হবে,  জীবন হবে সুখময়। ৮ই ডিসেম্বর, ১৯৮২ সালে, লেখক হিসেবে তার অসম্ভব্য এক যাত্রা শুরু হয় আর তার কয়েক দশক পরেই, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ (gabriel garcía márquez) (মার্চ ৬, ১৯২৭-এপ্রিল ১৭, ২০১৪) সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।  সারাজীবন লেখায় ডুবে থাকা এক মানুষ নিজের সমস্ত  অন্তর দিয়ে, সমস্ত সত্তা নিয়

সাহিত্যের ধারা 'অ্যাফ্রোফিউচারিজম' / Genres ‘afrofuturism’

সাহিত্যের ধারা 'অ্যাফ্রোফিউচারিজম' /  Genres ‘afrofuturism’   আফ্রোফিউচারিজম (afrofuturism) নিপীড়িত মানুষের অভিজ্ঞতার কথা বলে। কী বলে এই সাহিত্যের ধারা। শিল্পীর কল্পনায়|Image Courtesy: solen feyissa/ wikimedia commons (cc by-sa 2.0) আফ্রোফিউচারিজম (afrofuturism) নিপীড়িত মানুষের অভিজ্ঞতার মধ্যে নিহিত, তাই এটি সাধারণত শোষণমূলক ব্যবস্থাকে নির্দেশ করার চেষ্টা করে এবং আধুনিক প্রতিষ্ঠানগুলি যেভাবে জাতি এবং লিঙ্গকে নিয়ন্ত্রণের উপায় হিসাবে ব্যবহার করে তার দিকেই ইঙ্গিত করে। নতুন সাই-ফাই মিউজিক্যাল নেপচুন ফ্রস্ট (neptune frost) , কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ দিয়ে নির্মিত রুয়ান্ডার গ্রামের গল্পের সেট যেন এক, যেখানে নতুন  কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ গল্প বলে ; একটি ইন্টারসেক্স হ্যাকার (intersex hacker) এবং একটি কোল্টান মাইনরের ( coltan miner) গল্প বলে তাদের যারা  অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেয়। পুরো কাহিনী জুড়ে এক অ্যানার্কি ( Anarchy)। নৈরাজ্য জুড়ে আছে এই বিদ্রোহের মূলে। গণ অভ্যুত্থান হয়ে ছিল তাই। ১৯৯৮ থেকে শুরু করে, বিভিন্ন ক্ষেত্রের পণ্ডিত, শিল্পী এবং কর্মীরা শব্দটির অর্থ

অন্তহীন কথা - বাংলা উপন্যাস/ Bengali Novel

অতীনের কথা  অচেতন, সে এক অলীক অবচেতন, রহস্য আর মেঘের মত রহস্য দিয়ে ডুবিয়ে রাখা অচেতন । সত্যের  তীব্রতা বড় গাঢ় হতে শুরু করেছে। Sweet truth, সত্যের নির্দয়তা, প্রখরত্ত্বের, প্রবল বেগের কামনা ধ্বনিত হচ্ছে। Metaphore এক ধারণা তৈরি করে,  নিষ্ঠুর ধারণা, তীব্র ধারণা,  অকথ্য সত্য, কিন্তু দূরত্ব বাড়তে থাকছে, ভেসে আসছে  কোনো শব্দ, দূরত্বেরও কি কোনো  অনুভূতি তৈরি হয়?  করুণাময় অনুভূতি? তৈরি করতে পারে করুণাময় অনুভূতি? কোনো না বলা সত্যি কথা, যা বলা যায় না, যা বলতে গেলে পুরো ভাবনাটা তালগোল পাকিয়ে যেতে থাকে?unspeakable truth, নিজেদের মধ্যে প্রোথিত করে ফেলে poetic radiance? একটা, একটা  work of art ? নদী আসলে একটা রহস্য, তার পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে সম্পর্কের  একটি রহস্য,  যা আমাদের তাদের কাছে টেনে নিয়ে যায়, কারণ তারা লুকানো জায়গা থেকে উঠে আসে এবং এমন একটা আশ্চর্য্য রুটে ভ্রমণ করে।  যা সবসময় একটা কালে স্থির  হয়ে থাকে।  না যেখানে আজ না সেখানে কাল, এই সময়ের মাপ যেন কেউ কোনোদিন খুঁজে পায় নি। থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে।   Life, Loss আর knowledge সম্পর্কে এক অত্যাশ্চর্য ধ্যানে বৃত্ত

অ্যান ফ্র্যাঙ্ক এবং হলোকাস্ট সাহিত্য/ Anne Frank and Holocaust Literature

অ্যান ফ্র্যাঙ্ক এবং হলোকাস্ট সাহিত্য/ Anne Frank and Holocaust Literature  অ্যান ফ্র্যাঙ্ক এর ডায়েরি ৭৫ বছর পরেও সাহিত্যে, বিশেষ করে হলোকাস্ট( Holocaust) সাহিত্যে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করেছে। কেন আজও প্রাসঙ্গিক এই ডায়েরি?    অ্যান ফ্র্যাঙ্ক এর ডায়েরি এবং হলোকাস্ট সাহিত্য/ Anne Frank’s Diary and holocaust literature  অ্যান ফ্র্যাঙ্ক এর ডায়েরি যথাক্রমে থিয়েটার, চলচিত্র এবং টিভি সিরিজের জন্য অনেকবার অ্যাডাপ্টেড  হয়েছে। অ্যানিমেশন, কমিক্সের চরিত্রে এবং ছোটোদের বইতেও এই ডায়েরির ঘটনার বিবরণ, চরিত্রদের  দেখতে পাই আমরা- বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ এবং সর্বোপরি বেঁচে থাকার আশা- যাকে বলতে পারি "অ্যাবাউট হোপ"- “about hope” এর মূল উপজীব্য হয়ে উঠেছে বারে বারে। অ্যান ফ্র্যাঙ্ককে জানতে চেয়েছি আমরা, কেমন ছিল তার লুকিয়ে থাকার দিনগুলো, ডায়েরির পাতায় পাতায় খুজেঁ নিতে চেয়েছি তাকে। অনেক কল্পকাহিনীর ভিত্তি করা হয়েছে এই ডায়েরিকে, যা সবচেয়ে বেশী ডানা মেলেছে ফিলিপ রথের লেখায়।  সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্ল্যাক হিউমারের ( black humour) উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে এই ডায়েরির কন্টেন্ট।  বেস্ট সেলা

আমেরিকায় ভারতীয় লেখকেরা/Indian writers in america

ভারতীয় ভ্রমণ- লেখক এবং  ১৯ শতকের আমেরিকা ভ্রমণ/ 19th Century America and Early Indian Travel Writers  ইশুরী দাস এবং জাহাঙ্গীর কোঠারী ,  প্রথম  ভারতীয় যাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের  বিবরণ আমরা লিখিত আকারে পাই। কেমন ছিল তাঁদের সেই অভিজ্ঞতা?  দাস এবং জাহাঙ্গীর কোঠারী , প্রথম ভারতীয় যাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের বিবরণ আমরা লিখিত আকারে পাই। কেমন ছিল তাঁদের সেই অভিজ্ঞতা? জাহাঙ্গীর কোঠারী : Image Courtesy : wikimedia common  42nd street, new york, circa 1880. | Image Courtesy : archives/wikimedia commons.    ১৯ শতকের সময়কাল, দু'জন ভারতীয় নাগরিক বেরিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে, তবে এক সঙ্গে নয়, মধ্য দিয়ে পেরিয়ে গেছে চল্লিশ বছর। এই এতো সময়ের  ব্যবধানে ভ্রমণ কাহিনীর মধ্যে কিন্তু কোনো অভূতপূর্ব এলিয়েন উপাদান থাকার সম্ভবনা নেই। যা থাকার তা হল বিদেশের মাটিতে দুজনের প্রায় একই ধরণের  অভিজ্ঞতা । ইশুরী দাস, উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের একজন মিশনারী বা ধর্মপ্রচারক, তার আমেরিকা - আগমনের খবর ছড়িয়ে পরার উত্তেজনা বর্ণনা করেছেন এই ভাবে:    “natives of winchester had heard of the