সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কাহলিল জিব্রান: স্বগতকথন, সত্তা, সাহিত্য/ Kahlil Gibran On Soliloquy, Be Oneself, Literature


অ্যাবসারডিটি অফ্ সেলফ রাইটাসনেস আর কাহলিল জিব্রান / Kahlil Gibran: Absurdity of Self-Righteousness



স্ব-ন্যায়ত্বের একপ্রকার অযৌক্তিকতা থাকে, শিল্পী অ্যান ট্রুইট (Anne Truitt) আমাদের দীর্ঘস্থায়ী self-righteousness নিরাময় নিয়ে চিন্তা করার কয়েক দশক আগে, আরেকটি অসাধারণ সৃজনশীল মন এই হিউম্যান প্যাথলজির সাথে ধাক্কা খেয়েছিল ! লেবানিজ-আমেরিকান শিল্পী, কবি, এবং দার্শনিক কাহলিল জিব্রানের ১৯১৮ সালে প্রকাশিত সংকলন দ্য ম্যাডম্যান: হিজ প্যারাবলস অ্যান্ড পোয়েমস (The Madman: His Parables and Poems)-এর অনেক রত্নগুলির মধ্যে একটি- ইংরেজিতে জিব্রানের প্রথম কাজ, একটি ক্লাসিক যা উইলিয়াম ব্লেক (William Blake ) Mary Oliver —এবং মেরি অলিভারের (Mary Oliver ) কথা কোথাও মনে পড়িয়ে দেয়— একটি ছোট কবিতা যা আমাদের বিচ্ছিন্নতার বিভ্রম তৈরী করে, subtlety একটা illusion এর জন্ম দেয়, জন্ম দিতে থাকে insightful separateness এবং self-righteousness এর , দুর্দান্ত সূক্ষ্মতা এবং দুরন্ত অন্তর্দৃষ্টি যোগ হয় এর সঙ্গে, সাথে কথা বলে, আমাদের বিষণ্ণ প্রবণতা অন্য অনেক পরিশীলিত আকাঙ্ক্ষাকে বাধা দেয়, nuisances কে প্রতিহত করতেই হয়, উপদ্রবের জন্য ভুল করার প্রবণতা বাড়তে থাকে, ভুলে যাওয়ার জন্য যে সবাই জীবন ভাগাভাগির খেলায় নেমে পড়েছে, এই ভাগ করা অভিজ্ঞতায় কেবল তাদের সেরাটা দেওয়ারই চেষ্টা করার কথা নয়কি ! Shared experience আর shared explore of life কি শেখায় আমাদের !!


কাহলিল জিব্রান: স্বগতকথন, সত্তা, সাহিত্য/ Kahlil Gibran On Soliloquy, Be Oneself, Literature
Kahlil Gibran: Image Courtesy: gettyimage 



SAID A BLADE OF GRASS

সেইড আ ব্লেড অফ্ গ্রাস 


Said a blade of grass to an autumn leaf, “You make such a noise falling! You scatter all my winter dreams.”

Said the leaf indignant, “Low-born and low-dwelling! Songless, peevish thing! You live not in the upper air and you cannot tell the sound of singing.”


Then the autumn leaf lay down upon the earth and slept. And when spring came she waked again — and she was a blade of grass.

And when it was autumn and her winter sleep was upon her, and above her through all the air the leaves were falling, she muttered to herself, “O these autumn leaves! They make such noise! They scatter all my winter dreams.”

শরতের পাতায় ঘাসের তীক্ষ্ণ ফলক বলে উঠল, “তুমি এমন আওয়াজ করছ পড়ে গিয়ে! তুমি যে আমার শীতের সব স্বপ্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিচ্ছ।"


 ক্ষিপ্ত হয়ে পাতা বলল, “ ওহে নিচু-জাত ও নীচের তলার বাসিন্দা! সংগীত হীন, বেদনাদায়ক জিনিস এক! তুমি উপরের বাতাসে থাক না এবং তুমি গানের শব্দও বলতে পারো না।”



তারপর শরতের পাতা মাটিতে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। এবং যখন বসন্ত এল তখন সে আবার জেগে উঠল - এবং সে ছিল একটা ঘাসের ফলক।


 এবং যখন শরত্কাল ছিল এবং তার শীতের ঘুম তার উপর জড়িয়ে ছিল, এবং তার উপরে সমস্ত বাতাস পাতা ঝরাচ্ছিল, সে মনে মনে বিড়বিড় করে বলেছিল, "হে এই শরতের পাতা! তারা এমন শব্দ করে! তারা আমার সমস্ত শীতের স্বপ্ন ছিন্নভিন্ন করে দেয়।”

 একই অস্তিত্বের, মুদ্রার একটি ভিন্ন দিক যেন, মেরি অলিভারের “Wild Geese” -"ওয়াইল্ড গিজ" এর পাঠের সাথে সমর্পিত।


#Kahlil Gibran 






মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস বা মগ্নচৈতন্য / What is Stream of Consciousness?

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস ? সাহিত্য ধারায় এটি এক রীতি, বলতে গেলে লেখনীর এক ধরণ। সাহিত্যের আলোচনায়  কিংবা সমালোচনায় 'স্ট্রিম অফ কনসাসনেস'- ‘Stream of Consciousness’  বা মগ্নচৈতন্য শুধুমাত্র এক শব্দ নয়, এ এক অনন্য, এক স্বতন্ত্র জঁর  ।  মগ্নচৈতন্যের   স্রোত সাহিত্যসৃষ্টির এক অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন ধারা,  যা কিনা  বিংশ শতাব্দীর কিছু বিখ্যাত লেখক   নিযুক্ত এক স্বতন্ত্র লেখন রীতি। নিজেদের লেখনীতে কিছু ঘটনা পরম্পরাকে  বর্ণনা করতে ব্যবহার করেছিলেন তারা ।  কিন্তু '  মগ্নচৈতন্য '  কী?  কেনই বা  এটি একটি 'ধারা' বা ' জঁর' ?  কিছু  পরিচিতি দিলাম বটে শুরুতে কয়েকটি শব্দকে আশ্রয় করে, তবে  বিস্তারিত আলোচনা  এগোবে আস্তে আস্তে।  এই আপাত সাধারণ এবং একইসঙ্গে ব্যাপকভাবে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা যুক্ত , সাহিত্যিক টার্মটির ধারণা  পরিষ্কার করতে সহায়তা করতে পারে হয়ত এই  আলোচনা ।   Image Courtesy: Steve Jhonson:pixels.com/free image প্রকৃতপক্ষে, ' মগ্নচৈতন্য  '   সাহিত্যের  জঁর  হিসাবে একেবারেই শুরু করেনি    তার  জীবন !  তবে ?   অবাক করা তথ্য এই  যে - সম্ভবতঃ এটি ছিল   এ

এডগার অ্যালান পো সিরিজ ১ l Edgar Allan Poe Series

এডগার অ্যালান পো এর "দ্য মার্ডারস ইন দ্য রু মর্গ"- “The Murders in the Rue Morgue” গোয়েন্দা গল্পের প্রথম আত্মপ্রকাশ হল এবং যাত্রা শুরু হল গোয়েন্দা কাহিনীর।  এডগার অ্যালান পো: Image Courtesy : pixabay  ১৮৪১ সালের প্রথম দিক তখন, এডগার অ্যালান পো (Edgar Allan Poe) ফিলাডেলফিয়ার এক জনপ্রিয় প্রকাশনা গ্রাহামস ম্যাগাজিনের (Graham’s Magazine) সম্পাদক হিসাবে কাজ করছেন, পত্রিকায় একটি গল্প জমা দিয়েছিলেন, বহু খেটে গল্পটি লিখেছেন পো, যার নাম ছিল "মার্ডার্স ইন দ্য রু ট্রায়ানন " - “Murders in the Rue Trianon.” প্যারিসের রাস্তার পাশে একটি বাড়িতে একটি ভয়ঙ্কর জোড়া-খুনের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছেন যে বাড়ি থেকে একজনের কণ্ঠস্বর শোনা গেছে, তবে একজন বক্তা ঠিক কী ভাষা ব্যবহার করছেন সে বিষয়ে কেউ একমত হতে পারছে না। ভাষার ধাঁধায় গুলিয়ে যাচ্ছে গোটা ঘটনা। বেশ কিছু ক্লুও পাওয়া গেছে, কিন্তু সেগুলো প্রতিটি পরবর্তীটির চেয়ে আরও বিভ্রান্তিকর। প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত। পুলিশ বিভ্রান্ত। কিন্তু সি. অগাস্ট ডুপিন (C. Auguste Dupin) একজন শেভালিয়ার (chevalier) এব

বাংলা অণুগল্প- অনুগল্প সিরিজ /Bengali Story

অসীম আর মাধবীলতা অসীম.....এই যে এই দিকে, মাধবীলতা আবার ডাক দিলো,....... হ্যাঁ একদম ঠিক যাচ্ছ,......আমার হাতটা লক্ষ্য করে আস্তে আস্তে এগিয়ে এস, না না ওদিকে নয়.......ওদিকে কাঁটার ঝোপ......গায়ে ফুটে গেলে কেলেঙ্কারির একশেষ.....মাধবীলতা আর ভরসা রাখতে পারলো না, নিজেই এগিয়ে গিয়ে অসীমের হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে হাঁটতে লাগলো। অসীমের জামাকাপড় ভিজে জবজব করছে। একজায়গায় থামলো তারা, বেশ নির্জন, একটা বাড়ির ভিতরে ঢুকে এল। একটু পুরোনো বাড়ি কিন্তু বসবাসের যোগ্য। মাথাটা মুছে নাও, বেশ ভিজেছ, ঠান্ডা ব'সে গেলে জ্বর আসতে পারে....মাধবীলতা হাতের মুঠো ছেড়ে দিয়ে একটা গামছা এগিয়ে দিল। .অসীম গামছাটা নিয়ে সামনে খোলা জানালার বাইরের পুকুরটার দিকে তাকিয়ে রইল একদৃষ্টে। মাধবীলতার শাড়ির আঁচলের একটা অংশ একটু দেখা যাচ্ছে। ওদিকটায় বোধহয় কাঁটাঝোপ ছিল. কালকের মধ্যে দুটো লাশ ই ভেসে উঠবে আশা করা যায় । -------------------------------------------- ছ'য়ে ছটাক : অনুগল্প ১. জানালাটার গ্রিলের মধ্যে দিয়ে নিজের চার হাত পা বের করে দিল সে, এবার শেকল দিয়ে বাঁধার কাজ শুরু হবে। ২.আমার পেনের কালিটা ধীরে ধীরে শেষ