সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নিজের সঙ্গে একা : এমিলি ডিকিনসন / Emily Dickinson : Women Liking Their Own Company

নিজের সঙ্গে থাকতে  চাওয়া কি একান্তই অপরাধ? সব সময় কি  লোকজন সংসর্গে থাকতেই হবে ?  কোনোভাবেই থাকা যায় না কি একা ? একদম একা, নিজের সঙ্গে একা ? "… আমি আমার বাবার জমি ডিঙিয়ে  কোনও বাড়ি বা শহরে যেতে পারি না," এমিলি ডিকিনসন লিখছেন তাঁর চিঠিতে, আর এই চিঠি লেখা হয়েছে লেখক, অবলিশনিস্ট  ও সৈনিক  কর্নেল থমাস ওয়েন্টওয়ার্থ  হিগিনসনকে।  একটি চিঠির  জবাবে তাঁকে এরকমটা লিখেছিলেন এমিলি।  তাঁকে হিগিনসন তিনবার বোস্টনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য, বিভিন্ন সাহিত্য বক্তৃতাগুলিতে অংশগ্রহণ করা এবং  অন্যান্য কবিদের সাথে সাহিত্যের আলোচনার জন্য সাক্ষাৎ। হিগিনসনের সঙ্গে এমিলি যোগাযোগ রাখতেন নিয়মিতই, তিনি ছিলেন বহির্জগতের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম, যার সাথে তিনি তাঁর কবিতাও ভাগ করে নিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও তিনি তাঁর আমন্ত্রণগুলি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, এমনকি অন্য সমসাময়িক কবিদের সাথে দেখাও করতে চাননি। এমিলি ডিকিনসন Image Courtesy : wikipedia.org  সমস্ত মহিলারা নাকি  বিপজ্জনক! আমরা  যদি  বেশিরভাগ ট্রাডিশনাল টেক্সটগুলিতে একটু চোখ বোলাই তাহলেই  একথার সত্যতা যাচাই করা হয়ে যায়। বিশেষত যদি অনুসরণ করি পুরুষদের

‘সাহিত্যের অগ্রগতি আসলে একটি জাতির আরোহণ’ - মুন্সী প্রেমচাঁদ/ ‘The ascent of literature is the ascent of a nation’- Munsi Premchand

হিন্দি সাহিত্যে মুন্সী প্রেমচাঁদ এক অবিস্মরণীয় নাম।  সাহিত্য রূপ বিশ্লেষণে  কি ভেবেছেন তিনি ? কিভাবেই বা তিনি দেখতেন  সাহিত্যকে  ?  মুন্সী প্রেমচাঁদ: image courtesy: wekipedia.org জীবনই হ'ল সেই ভিত্তি যার উপরে সাহিত্য নির্মিত হয়, সাহিত্যের প্রতিটি রূপ স্থাপিত হয়। একটি বিল্ডিংয়ের মিনার, গম্বুজ এবং হলঘরগুলি দৃশ্যমান হয় কিন্তু এর ভিত্তিভূমি অদৃশ্য রয়ে যায়। জীবন ঈশ্বরের সৃষ্ট, এবং তা সীমাহীন এবং অনিবার্য, তা অনির্বচনীয়। সাহিত্য মানবের দ্বারা সৃষ্ট, তাই তা বোঝা এবং উপলব্ধি করা সহজ। ঈশ্বরের কাছে জীবন দায়বদ্ধ কিনা তা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি না, তবে সাহিত্য অবশ্যই মানুষের কাছে জবাবদিহি দাবি করে। সাহিত্যের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে যা আমরা অগ্রাহ্য করতে পারি না। একজন মানুষ জীবনের গোলকধাঁধায় আনন্দের সন্ধানে নিজেকে নিমজ্জিত করে। কিছু মানুষ ধনরত্নের মধ্যে আনন্দ খুঁজে নেবার চেষ্টা করে, কেউ সুখী পরিবারে, কেউ বড় বড় অট্টালিকায়, কেউ বা বিলাসিতায় আনন্দ খুঁজতে থাকে অবিরাম। ভাল সাহিত্য পড়ার আনন্দ এই আনন্দগুলির চেয়ে বৃহত্তর এবং এই আনন্দগুলির অপেক্ষা অনেক বেশি শুদ্ধ, কারণ এর ভিত্তি সৌন্দর্য এ

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস বা মগ্নচৈতন্য / What is Stream of Consciousness?

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস ? সাহিত্য ধারায় এটি এক রীতি, বলতে গেলে লেখনীর এক ধরণ। সাহিত্যের আলোচনায়  কিংবা সমালোচনায় 'স্ট্রিম অফ কনসাসনেস'- ‘Stream of Consciousness’  বা মগ্নচৈতন্য শুধুমাত্র এক শব্দ নয়, এ এক অনন্য, এক স্বতন্ত্র জঁর  ।  মগ্নচৈতন্যের   স্রোত সাহিত্যসৃষ্টির এক অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন ধারা,  যা কিনা  বিংশ শতাব্দীর কিছু বিখ্যাত লেখক   নিযুক্ত এক স্বতন্ত্র লেখন রীতি। নিজেদের লেখনীতে কিছু ঘটনা পরম্পরাকে  বর্ণনা করতে ব্যবহার করেছিলেন তারা ।  কিন্তু '  মগ্নচৈতন্য '  কী?  কেনই বা  এটি একটি 'ধারা' বা ' জঁর' ?  কিছু  পরিচিতি দিলাম বটে শুরুতে কয়েকটি শব্দকে আশ্রয় করে, তবে  বিস্তারিত আলোচনা  এগোবে আস্তে আস্তে।  এই আপাত সাধারণ এবং একইসঙ্গে ব্যাপকভাবে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা যুক্ত , সাহিত্যিক টার্মটির ধারণা  পরিষ্কার করতে সহায়তা করতে পারে হয়ত এই  আলোচনা ।   Image Courtesy: Steve Jhonson:pixels.com/free image প্রকৃতপক্ষে, ' মগ্নচৈতন্য  '   সাহিত্যের  জঁর  হিসাবে একেবারেই শুরু করেনি    তার  জীবন !  তবে ?   অবাক করা তথ্য এই  যে - সম্ভবতঃ এটি ছিল   এ

যে স্মৃতি বয়ে যায় অসীমে : এমিলি ডিকিনসন ও তার স্মৃতিকথা / Drift to Loss - Emily Dickinson

এমিলি ডিকিনসন। মার্কিন এই কবির লেখা চিঠিতে পাই মৃত্যু নিয়ে অনেক কথা । আমেরিকান কবি মেগান  ও’রউর্ক    তার মাকে হারানোর  স্মৃতিতে লিখেছেন , “আমরা যাদের ভালোবাসি তারা যেন  আমাদের শরীরের  অংশ হয়ে রয়ে যায়, আমাদের সিনাপসেস এর  মতো করেই জুড়ে রাখে , যে পথে, যে স্মরণীতে  স্মৃতি তৈরি হতে থাকে। ”  মায়ের মৃত্যুর পর এমনিই কিছু অনুভবের কথা জানিয়েছেন  আরও একজন কবি  প্রায় এক শতাব্দী আগে। বয়ান পাই তার মায়ের পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে।  বিরল এক  দার্শনিক চেতনার প্রতিফলন থেকে যায় সেই মরমিয়া গদ্যে।  এমিলি ডিকিনসন; Image Courtesy : wikipedia.org   এমিলি ডিকিনসনের  (ডিসেম্বর ১০, ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দ - মে ১৫, ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দ ) মা যখন মারা যান , তখন তার বয়স বাহান্ন।  তার  আট বছর আগে একটা   স্ট্রোকে দীর্ঘদিন  শয্যাশায়ী ছিলেন   এমিলির মা  ।  পক্ষাঘাতগ্রস্থ।  প্রায় পুরোপুরি অক্ষম হয়ে  গিয়েছিলেন তিনি । আজীবন শারীরিক অসুস্থতা তাকে  করে তুলেছিল  তিতিবিরক্ত   ।  ভুগতে থাকা  শরীর -তার সঙ্গে-মনকেও বিপর্যস্ত করেছিল। নিজের জীবন ঘিরে চরম  অনাগ্রহ,  হতাশা আর বিসদৃশ রকমের বিরক্তি।   কিন্তু এসব  সত্ত্বেও  তাঁর কন্যার প্