সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কলেজ ড্রপআউট থেকে লিডিং ইউনিকর্ন স্টার্টআপ : ফিজিক্স ওয়ালার  সিইও অলোক পান্ডে সাফল্যের গল্প /From college dropout to leading unicorn startup: PhysicsWallah CEO Alakh Pandey's success

 

PhysicsWallah খুব পরিচিত একটা নাম এড টেক স্টার্টআপ এর ক্ষেত্রে। কি ভাবে গড়ে উঠল এই স্টার্টআপ? কি বা এর ভবিষ্যত? 


এড টেক (Edtech) স্টার্টআপ (start up) ফিজিক্স ওয়ালা - Physics Wallah আরও বেশি করে অফলাইন সেন্টার  পরিকল্পনা করছে। আরও আরও বেশি করে সেন্টার বা শিক্ষা কেন্দ্র খোলার মাধ্যমে এবং স্থানীয় ভাষায় কোর্স চালু করার মাধ্যমে তারা ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চাইছে। আর এর পেছনে আছে ১০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল । কোম্পানি এবং এর সিইও অলোক পান্ডের সাফল্যের যাত্রাপথে নতুন সংযোজন সিরিজ এ ফান্ডিং (series A funding) এ ১০০ মিলিয়ন ডলারের সংগ্রহ। হয়ে উঠেছে ভারতীয় ইউনিকর্নের তালিকার এক গুরুত্বপূর্ন অংশ।


কলেজ ড্রপআউট থেকে লিডিং ইউনিকর্ন স্টার্টআপ : ফিজিক্স ওয়ালার  সিইও অলোক পান্ডে সাফল্যের গল্প /From college dropout to leading unicorn startup: PhysicsWallah CEO Alakh Pandey's success
Logo PhysicsWallah: Image Courtesy: Wikimedia Commons 


পড়ানো চিরকালই পছন্দের ছিল অলোক পান্ডের। আর এই পড়ানোকে কেন্দ্র করে এক সফল এন্টারপ্রেনিয়ারশিপের (enterpreneurship) এর সূচনা। প্রচণ্ড রকমের সংঘর্ষ ছোটবেলা থেকেই, দারিদ্র্যের সঙ্গে সংঘর্ষ। নিজে স্কুলে পড়াকালীন নীচু ক্লাসের বাচ্চাদের টিউশন  পড়ানো শুরু। পরিবারকে একটু স্বচ্ছন্দ্যে রাখতে। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের আদতে বাসিন্দা, কানপুরের একটি ইনস্টিটিউটে পদার্থবিদ্যা শেখানোর জন্য তৃতীয় বর্ষের পরই কলেজ ছেড়ে দেন অলোক। সেখানকার ছাত্ররা তার পড়ানোর পদ্ধতি অসম্ভব পছন্দ করত।  কোচিং ইনস্টিটিউটের প্রধান তাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করার পরামর্শ দেন যাতে আরও বেশি শিক্ষার্থী তার ক্লাসে সরাসরি যোগ দিতে পারে। অলোক পান্ডে তার পরামর্শমতো  ২০১৪ সালে PhysicsWallah নামে একটি চ্যানেল চালু করেন।


প্রথমদিকে খুব ধীরে ধীরে চ্যানেল গ্রো করছিল। সেভাবে ভিউয়ারশিপও ছিল না। ২০১৭ সালে,  অলোক পান্ডে ইউটিউবে ( YouTube) পুরো সময় ফোকাস করেন, সেই জন্য কোচিং এর চাকরি ছেড়ে দেন, মন দেন ইউটিউবে পড়ানোর কাজে।  যার ফলশ্রুতি, ২০১৯ সাল নাগাদ,  ২ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার (subscriber) ওয়ালা চ্যানেল হয়ে দাঁড়ায়।

(চলবে)


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস বা মগ্নচৈতন্য / What is Stream of Consciousness?

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস ? সাহিত্য ধারায় এটি এক রীতি, বলতে গেলে লেখনীর এক ধরণ। সাহিত্যের আলোচনায়  কিংবা সমালোচনায় 'স্ট্রিম অফ কনসাসনেস'- ‘Stream of Consciousness’  বা মগ্নচৈতন্য শুধুমাত্র এক শব্দ নয়, এ এক অনন্য, এক স্বতন্ত্র জঁর  ।  মগ্নচৈতন্যের   স্রোত সাহিত্যসৃষ্টির এক অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন ধারা,  যা কিনা  বিংশ শতাব্দীর কিছু বিখ্যাত লেখক   নিযুক্ত এক স্বতন্ত্র লেখন রীতি। নিজেদের লেখনীতে কিছু ঘটনা পরম্পরাকে  বর্ণনা করতে ব্যবহার করেছিলেন তারা ।  কিন্তু '  মগ্নচৈতন্য '  কী?  কেনই বা  এটি একটি 'ধারা' বা ' জঁর' ?  কিছু  পরিচিতি দিলাম বটে শুরুতে কয়েকটি শব্দকে আশ্রয় করে, তবে  বিস্তারিত আলোচনা  এগোবে আস্তে আস্তে।  এই আপাত সাধারণ এবং একইসঙ্গে ব্যাপকভাবে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা যুক্ত , সাহিত্যিক টার্মটির ধারণা  পরিষ্কার করতে সহায়তা করতে পারে হয়ত এই  আলোচনা ।   Image Courtesy: Steve Jhonson:pixels.com/free image প্রকৃতপক্ষে...

বার্ট্রান্ড রাসেল : সাহিত্যের কথা/ Bertrand Russell And Writing

বার্ট্রান্ড রাসেল : সাহিত্যের কথা/ Bertrand Russell And Writing   সুখ কি কোনো গোপন বিষয় ? সুখের ও নাকি আছে গোপন চাবিকাঠি? স্বয়ং বার্ট্রান্ড কি খুঁজে পেলেন সিক্রেট অফ হ্যাপিনেস ?  “let your interests be as wide as possible, and let your reactions to the things and persons that interest you be as far as possible friendly rather than hostile.” অন্ধকার সময়ে, যা  বারবার বাঁচিয়েছে দিয়েছে মনুষ্য সমাজকে তা হল একে অন্যের প্রতি নিঃস্বার্থ নিবেদন, সততা এমনই এক ক্রিয়াভান্ড যাকে বলব এ্যাকশান অফ আনসেলফিং - নিজেকে বাদ দিয়ে  বিশ্বের  জন্য সহজাত ভালোবাসা, যা কিনা হবে ইন্সটিনকটিভ, যা হবে  সহজাত। এই ওয়াকফুলনেস কার্য কারণ হয়ে ওঠে সুখের, আমাদের সবার সুখের ;  সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে থাকি অন্য কারো সংগ্রামে, প্রসারিত করি মনকে,  আলোকবর্ষ দূরের ঝকঝকে গ্যালাক্সি -  ড্যাজলিং গ্যালাক্সি আবিষ্কার হতে থাকে, আমাদের  জানালার বাইরে গাছে কাঁপন ধরেছে, ধীরে ধীরে বারেবারে কেঁপে উঠছে তারা। আমরা মিরর ইমেজ তৈরী করতে থাকি আয়না-চিত্র আমাদের মনের কথা বলে ওঠে ক...

একটি প্রেমের গল্প : অমৃতা প্রীতম এবং সাহির লুধিয়ানভি / The love story of Amrita Pritam and Sahir Ludhianvi

প্রেমের গল্প। প্রেম ভাঙার গল্প। পাত্র-পাত্রী সাহির লুধিয়ানভি এবং অমৃতা প্রীতম। দিকপাল দুই সাহিত্যিক। কেমন ছিল সেই সম্পর্ক ? ''আমি তো জানতাম সাহির, তোমার কোনোদিনই আমার প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষার কোনো দায় ছিল না । কি যেন বলে আজকাল ! ও হ্যাঁ , কমিটমেন্ট ফোবিয়া।  ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবে কি না সেই দ্বিধাতেই তো রয়ে গেলে। কেন  যেন মনে হয় আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা  সেই গভীরতর  অতলান্ত  স্পর্শ করে নি কোনোদিন। ছুঁয়ে দেখেনি সেই ভালোবাসার তীব্র টানকে। আচ্ছা সত্যি করে বলো তো, তুমি কি সত্যি আমাকে ভালোবেসেছ  ? যতটা আমি তোমাকে বেসেছি।  "ম্যায়নে টুট  কে প্যায়ার কিয়া তুম সে / ক্যায়া  তুমনে ভী উতনা কিয়া মুঝ সে?'' অমৃতা প্রীতম এবং সাহির লুধিয়ানভি : Image Courtesy : Indian Express  ' ''মোহাব্বত কি পরখ  কা  ইয়েহি  তো রাস্তা  হ্যায় / তেরি  তালাশ মে নিকলু, তুঝে  না  পায়ু  ম্যায় '' । অমৃতা ভালোবাসা খুঁজেছেন, সেই আকুল করা ভালোবাসা,  হৃদয় তন্ত্রীতে সেই তীব্র...