সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হারানো খাতা - বাংলা উপন্যাস/ Bengali Novel

 মিল্কিওয়ে, স্থির হয়ে থাকা পুকুর আর জীবনের অর্থ, এমনই কিছু একটা ভাবার চেষ্টা করছিল ঝুরা। একাকীত্ব, সহানুভূতি এবং বিষণ্ণতার জন্যই তো একা থাকা। melancholy, গাঢ় হতে শুরু করে যখন তখন তখন কথা মনে পড়ার সময় হয়। তাই সেই মিল্কিওয়ের মত করে নিজের রাস্তা অনেকদিন থেকেই খোঁজবার চেষ্টা করছিল ঝুরা। কিন্তু এই তিনটার মধ্যে ঠিক connection টাই বা কোথায়? এই তিনটি জিনিসই বা কেন হঠাৎ একসঙ্গে মনে পড়ল? স্থির হয়ে যাওয়া সামনের জলরাশি দেখে কি একটা হঠাৎ মনে পড়ল? 


হঠাৎ হঠাৎ এরকম হয় ঝুরার। একটা জিনিষ দেখতে দেখতে অন্য কিছুর সঙ্গে corelate করতে শুরু করে। একা থাকা যখন মনের মধ্যে  যে গাঢ় পর্দা ফেলতে থাকে তখনই কি বিষণ্ণতার সৃষ্টি হয়? কিন্তু , মিল্কিওয়ে আর বিষণ্ণতার মধ্যেও বা কি correlation? ঝুরা জট ছাড়াতে শুরু করেছে। এত গুলো correlation এক সঙ্গে যোগ হতে শুরু করেছে! 


প্রকৃতির মাঝে বাস করি, নিজের  ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করতে পারি আজকাল, very black melancholy কিরকম যেন একটা,  খুব  কালো দিনকাল, বিষণ্ণতার মত,  হতে পারে, হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। ঝুরা আবার নিজের মধ্যেকার correlation খুঁজতে শুরু করে।


জীবনের এই সময়গুলি - যখন কিছুই ঘটে না - কিন্তু নিঃশব্দে সময় প্রসারিত হয়। তখন নিজেকে উপলব্ধি করতে শুরু করে ঝুরা। নিজেকে শিল্পীর মত খুঁজে পেতে ইচ্ছে করে ঝুরার। নির্জন উপকূলে খুঁজে পাচ্ছে নিজেকে, একা আলাস্কার নির্জনতায় খুঁজতে শুরু করেছে নিজেকে এমনটা ভাবতে পারে ঝুরা, মরুভূমি, নির্জনতা,  একটা, একটা বেশ solitude, একটা, একটা বেশ wildness কাজ করতে থাকে ঝুরার ভিতরে। Creativity, মানি বলতো, creativity না থাকলে কিচ্ছু হবার নয়।  সৃজনশীলতাই তো শেষ কথা বলবে, বলতো মানি। সম্পর্ক নিয়ে চিন্তাভাবনা করছিল সেই সময় ঝুরা অনেক।   

(চলবে)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস বা মগ্নচৈতন্য / What is Stream of Consciousness?

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস ? সাহিত্য ধারায় এটি এক রীতি, বলতে গেলে লেখনীর এক ধরণ। সাহিত্যের আলোচনায়  কিংবা সমালোচনায় 'স্ট্রিম অফ কনসাসনেস'- ‘Stream of Consciousness’  বা মগ্নচৈতন্য শুধুমাত্র এক শব্দ নয়, এ এক অনন্য, এক স্বতন্ত্র জঁর  ।  মগ্নচৈতন্যের   স্রোত সাহিত্যসৃষ্টির এক অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন ধারা,  যা কিনা  বিংশ শতাব্দীর কিছু বিখ্যাত লেখক   নিযুক্ত এক স্বতন্ত্র লেখন রীতি। নিজেদের লেখনীতে কিছু ঘটনা পরম্পরাকে  বর্ণনা করতে ব্যবহার করেছিলেন তারা ।  কিন্তু '  মগ্নচৈতন্য '  কী?  কেনই বা  এটি একটি 'ধারা' বা ' জঁর' ?  কিছু  পরিচিতি দিলাম বটে শুরুতে কয়েকটি শব্দকে আশ্রয় করে, তবে  বিস্তারিত আলোচনা  এগোবে আস্তে আস্তে।  এই আপাত সাধারণ এবং একইসঙ্গে ব্যাপকভাবে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা যুক্ত , সাহিত্যিক টার্মটির ধারণা  পরিষ্কার করতে সহায়তা করতে পারে হয়ত এই  আলোচনা ।   Image Courtesy: Steve Jhonson:pixels.com/free image প্রকৃতপক্ষে, ' মগ্নচৈতন্য  '   সাহিত্যের  জঁর  হিসাবে একেবারেই শুরু করেনি    তার  জীবন !  তবে ?   অবাক করা তথ্য এই  যে - সম্ভবতঃ এটি ছিল   এ

ভারতে পিকনিকের খাবারের বৈচিত্র্যময় ইতিহাস / The Diverse History Of Picnic Food In India

  ভারতে পিকনিকের খাবারের বৈচিত্র্যময় ইতিহাস / The Diverse History Of Picnic Food In India ভারতে  কিরকম ভাবে হয় পিকনিক। কিভাবেই বা হতো ব্রিটিশ আমলের পিকনিক? মহাভারতের যুগেও কি হতো পিকনিক?  পিকনিক: Image Courtesy: Getty Image  মহাভারত থেকে ব্রিটিশ রাজ - বাড়ির বাইরে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া , না, না কোনো রেস্তোরাঁর কথা বলছি না, বলছি পিকনিকের (picnic) কথা,  বাংলায় চড়ুইভাতি বলি যাকে। ছোটবেলার পিকনিকের স্মৃতি রাজত্ব করছে এখনও,আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহু যুগের ঐতিহ্য এই চড়ুইভাতি এখনও টিকে আছে বহু বদলের পরেও।  শুধুমাত্র মেনু পরিবর্তিত হয়েছে,পরিবর্তিত হয়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর চরিত্র, ভৌগলিক দূরত্বের সাথে আলাদা হয়েছে বিভিন্ন  চড়ুইভাতির রকম - সকম, খাবারের মেনুর। আশি কিংবা নব্বই দশকের প্রকাশিত হওয়া কোনো গল্পের সিরিজে, সিরিয়ালে, উপন্যাসে, কিংবা রম রম করে  হল গুলোতে চলা সিনেমাতে  পক্ষে মেয়েদের রঙিন মাসিক পত্রিকাতে  পিকনিকের উল্লেখ , ছবি থাকতই থাকত। বড় বেলায় দেখে ছোটবেলার পিকনিকের ছবি। কিন্তু  একটা জিনিস নিয়ে দুঃখ আমার বরাবরই থেকে  গেছে , ছোটোবেলার পিকনিকগুলিতে রঙ্গিন বাহারি ম্যাগাজিনের

বাংলা ছোটগল্প - ছোটগল্প সিরিজ / Bengali Short Story

একটি দিন ''দাদু, ও দাদু, সৈন্য কি গো?''- একটু চমকে উঠলো তামলিং।  হাতের কাজটা থামিয়ে  তুয়াংলিংয়ের দিকে  তাকালো  মুখ তুলে  ।  '' এই কথা কোথা থেকে জানলে দিদিভাই?'' '' ওই তো, বাজারে গেছিলাম আজকে , সেখানেই তো সবাই বলাবলি করছিলো, সৈন্যরা নাকি আজকে মাঙ্গোগিরির নেতা শিশিমারাকে ধরে নিয়ে গেছে।   মাঙ্গোগিরি   কি গো দাদু, আর নেতা মানে কি ? ওই শিশিমারা সে কে গো ?''  এত  প্রশ্নের সামনে প'রে তামলিং এর মুখে  জোগায় না  কথা  ।   বাড়ির সামনে বসে গাছগুলোকে পরিচর্যা করছে বুড়ো তামিলিং। তারপর করবে বাগানের পরিচর্যা। সবজি বাগানে বুড়ো তামলিং সবজি ফলায়।  সারা বছরের পরিবারের খাবারের জন্য সবজি এখন  থেকেই আসে যে । পরিবার বলতে বুড়ো তামলিং, তার বৌ বুড়ি তুয়ানকে এবং দুটো নাতি নাতনি  তুয়াংলিং আর শিনবোনা। আরো দুজন ছিল এই পরিবারে, যাদের কথা ভাবতে গেলে.... '' ও দাদু, কি গো চুপ করে রয়েছো কোনো ?'' বুড়ো তামলিং  তাকালো  উদাস চোখ তুলে , সামনে দাঁড়িয়ে তুয়াংলিং ,চোখে কৌতূহল।  '' যা জানতে চাইছো দিদিভাই, সে কথা বলতে গেলে অনেক গল্প বলতে