সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কীভাবে লেখক কিংবা না লেখক হয়ে ওঠা সম্ভব : শিল্পের টানে আন্তন চেখভ / How To Be Or Not To Be A Writer: Anton Chekhov And An Art


কীভাবে লেখক কিংবা না লেখক হয়ে ওঠা সম্ভব :শিল্পের টানে  আন্তন চেখভ / How To Be Or Not To Be A Writer: Anton Chekhov And  An Art



আমরা এক একটি সত্যকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,  আমরা যে প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করি সেই উত্তরগুলিকে আমাদেরকেই খুঁজে নিতে হয়।  এটাও একটা সত্য। প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে উত্তরকেও একটা আকৃতি, একটা শেপ দিতে থাকে। আরেকটি হল যে আমাদের প্রশ্নগুলি - সেই বিস্ময়, অনিশ্চয়তা এবং সন্দেহের ত্বরান্বিত প্রবাহ যা জীবনের সারফেসে রয়ে গেছে।  নীচে রয়ে যায় - আমাদের সৃজনশীলতার শক্তি, সৃজনশীলতার সত্য, পারমাণবিক শক্তির মত সত্যি,  একক শান্ত সমাহিত শক্তি।  আমরা যা কিছু তৈরি করি - আমাদের গান এবং আমাদের গল্প, আমাদের কবিতা আর আমাদের সম্পর্কের  সমীকরণগুলি - আমরা খোঁজা শুরু  করি পৃথিবীতে কে কীভাবে একে অপরকে ঘিরে থাকে,  কাজ করে নিয়মমতো এবং আমরা যে কী তা খুঁজে বের করার জন্য আকুল হই,  আপেক্ষিক মহাবিশ্বে পরমকে পাওয়ার জন্য আমাদের অস্থির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কীভাবে বেঁচে থাকা যায় তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করতেই থাকি। একটা অ্যাবসলিউট কে পাওয়ার চেষ্টা এই রিলেটিভ ইউনিভার্স এ।
এমন প্রশ্ন যা ঘুরে ঘুরে আসে, - “can make or unmake a life,” — এক অনন্য দৃষ্টিকোণ এ বিচার করেছেন  কবি ডেভিড হোয়াইটের (David Whyte) ভাষায় — সমস্ত মহান শিল্পের কাঁচামাল যা দিয়ে শিল্পের গোড়াপত্তন হয় এবং শেষ ফলাফল উভয়ই একই অভিমুখে যাত্রা করে; শিল্পের কাজ শুধুমাত্র মানব সত্তার জীবন - ধাঁধা সমাধান করা নয় বরং আমাদের নিকট-জীবনের অভিজ্ঞতার মিথ্যা নিশ্চিন্ততা সত্যের আলোকে দ্রবীভূত করা। একটা false certainties ঘিরে ধরছে যেন আমাদের আলো আলো কিংবা আবছা অন্ধকারের জীবনকে।

আন্তন চেখভ - Anton Chekhov - (২৯ শে জানুয়ারী, ১৮৬০ - ১৫ ই জুলাই, ১৯০৪) যখন তিনি একজন বন্ধুকে চিঠিতে লিখছেন, বয়স তখন কত হবে, এই বছর আঠাশেক,  সম্বোধন করছেন - "How to Write Like Chekhov: Advice and Inspiration, Straight from His Own Letters and Work" - কীভাবে চেখভের মতো লেখক হওয়া যায় - পরামর্শ এবং অনুপ্রেরণা, সরাসরি তাঁর নিজের চিঠি এবং কাজ থেকে তুলে ধরছি , সংকলিত এই চিঠিপত্রে। 


বন্ধু আলেক্সি সুভরিনের ( Alexei Suvorin ) সাথে কথা বলব এবার — একজন ছোট গল্প লেখক, নাট্যকার এবং সাংবাদিক, যিনি রাশিয়ান সাম্রাজ্যের সূর্যাস্তের সময়কার সবচেয়ে প্রভাবশালী সংবাদপত্রের প্রকাশক হয়েছিলেন — সেই আন্তন চেখভ, যাঁর লেখার অনুবাদক লেনা লেনচেক (Lena Lenček) , ২৭ শে অক্টোবর, ১৮৮৮ সালে লিখেছেন:

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস বা মগ্নচৈতন্য / What is Stream of Consciousness?

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস ? সাহিত্য ধারায় এটি এক রীতি, বলতে গেলে লেখনীর এক ধরণ। সাহিত্যের আলোচনায়  কিংবা সমালোচনায় 'স্ট্রিম অফ কনসাসনেস'- ‘Stream of Consciousness’  বা মগ্নচৈতন্য শুধুমাত্র এক শব্দ নয়, এ এক অনন্য, এক স্বতন্ত্র জঁর  ।  মগ্নচৈতন্যের   স্রোত সাহিত্যসৃষ্টির এক অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন ধারা,  যা কিনা  বিংশ শতাব্দীর কিছু বিখ্যাত লেখক   নিযুক্ত এক স্বতন্ত্র লেখন রীতি। নিজেদের লেখনীতে কিছু ঘটনা পরম্পরাকে  বর্ণনা করতে ব্যবহার করেছিলেন তারা ।  কিন্তু '  মগ্নচৈতন্য '  কী?  কেনই বা  এটি একটি 'ধারা' বা ' জঁর' ?  কিছু  পরিচিতি দিলাম বটে শুরুতে কয়েকটি শব্দকে আশ্রয় করে, তবে  বিস্তারিত আলোচনা  এগোবে আস্তে আস্তে।  এই আপাত সাধারণ এবং একইসঙ্গে ব্যাপকভাবে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা যুক্ত , সাহিত্যিক টার্মটির ধারণা  পরিষ্কার করতে সহায়তা করতে পারে হয়ত এই  আলোচনা ।   Image Courtesy: Steve Jhonson:pixels.com/free image প্রকৃতপক্ষে...

টি.এস. এলিয়ট: লেখা, সাহিত্য, মনন / T.S. Eliot on Writing, Literature, Thoughts

টি.এস. এলিয়ট: এক উচ্চভিলাসী  তরুণ  লেখককে দেওয়া  পরামর্শের চিঠি / T.S. এলিয়ট: His Warm Letter Of Advice To A Aspiree How  To Become A Writer “If you write what you yourself sincerely think and feel and are interested in,”  একজন লেখক হওয়ার উচ্চাকাঙ্খা, ষোল বছরের এক কিশোরীর  প্রতি লিখিত পরামর্শ যা  ধরা আছে চিঠিতে !তাঁর আবেগের উষ্ণতার স্পর্শ পাই যেন! টি. এস এলিয়ট: Image Courtesy: Wikimedia Commons  সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী এবং লেখক র‌্যাচেল কারসন লেখক হতে আগ্রহী একজনকে, একজন দৃষ্টিহীন মেয়েকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, “you will interest other people.”- "আপনি অন্য লোকেদের আগ্রহী করবেন।"  ১৯৫২ সালে, অ্যালিস কুইন নামে একজন ষোল বছর বয়সী   “aspiring Young Writer” - "উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণ লেখক" টি.এস.  এলিয়ট ( জন্ম ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ – মৃত্যু ৪ঠা জানুয়ারী, ১৯৬৫) এর সঙ্গে দেখা করেন - সেই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত লেখকদের মধ্যে একজন এলিয়ট -তিনি সৃজনশীলতা , লেখার, সৃজনশীল প্রক্রিয়া, লেখক হয়ে ওঠা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে ...

একটি প্রেমের গল্প : অমৃতা প্রীতম এবং সাহির লুধিয়ানভি / The love story of Amrita Pritam and Sahir Ludhianvi

প্রেমের গল্প। প্রেম ভাঙার গল্প। পাত্র-পাত্রী সাহির লুধিয়ানভি এবং অমৃতা প্রীতম। দিকপাল দুই সাহিত্যিক। কেমন ছিল সেই সম্পর্ক ? ''আমি তো জানতাম সাহির, তোমার কোনোদিনই আমার প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষার কোনো দায় ছিল না । কি যেন বলে আজকাল ! ও হ্যাঁ , কমিটমেন্ট ফোবিয়া।  ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবে কি না সেই দ্বিধাতেই তো রয়ে গেলে। কেন  যেন মনে হয় আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা  সেই গভীরতর  অতলান্ত  স্পর্শ করে নি কোনোদিন। ছুঁয়ে দেখেনি সেই ভালোবাসার তীব্র টানকে। আচ্ছা সত্যি করে বলো তো, তুমি কি সত্যি আমাকে ভালোবেসেছ  ? যতটা আমি তোমাকে বেসেছি।  "ম্যায়নে টুট  কে প্যায়ার কিয়া তুম সে / ক্যায়া  তুমনে ভী উতনা কিয়া মুঝ সে?'' অমৃতা প্রীতম এবং সাহির লুধিয়ানভি : Image Courtesy : Indian Express  ' ''মোহাব্বত কি পরখ  কা  ইয়েহি  তো রাস্তা  হ্যায় / তেরি  তালাশ মে নিকলু, তুঝে  না  পায়ু  ম্যায় '' । অমৃতা ভালোবাসা খুঁজেছেন, সেই আকুল করা ভালোবাসা,  হৃদয় তন্ত্রীতে সেই তীব্র...