সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

করোনাভাইরাসের প্রভাব - ছবি যখন কথা বলে / Effect Of Corona Virus Worldwide In Photos

এখন একটাই কথা -করোনা ভাইরাস। আজ ছবিতে দেখে নেবো কতটা প্রভাব তার এই পৃথিবী জুড়ে। সঙ্গে নিয়ে এসেছি কিছু ছবি- অবশ্যই সংগ্রহ করা।

পৃথিবী জুড়ে  ছড়িয়ে পরতে  শুরু করেছে  করোনাভাইরাস। একের পর এক দেশ আক্রান্ত হচ্ছে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে কোভিড-১৯ কে প্যানডেমিক ঘোষণা করে দিয়েছে। আতঙ্কিত  মানুষজন । সব দেশের সরকার করোনাভাইরাসকে আটকাতে উঠে পরে লেগেছে।  আক্রান্ত দেশগুলো নিজেদের বিচ্ছিন্ন করেছে সবার থেকে । বিমানবন্দরগুলোতে হচ্ছে  যাত্রী-পরীক্ষা। সরকার হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।  সরকার এই অতিমারীকে আটকাতে সব ধরণের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।  ধরণের  গণ জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।   জনসাধারণকে নিজের নিজের বাড়িতে থাকতে বলা হচ্ছে।  স্কুল, কলেজ, অফিস, সিনেমা , থিয়েটার প্রভৃতি বন্ধ করে  দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । 


কিভাবে ছড়ালো এই ভাইরাস, কি কি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এসবই আমরা জেনে নিচ্ছি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। আজকে দেখবো এমন কিছু ছবি যেখানে দেখা যাবে কিভাবে সমগ্র পৃথিবীতে প্রভাব পরেছে এই করোনা ভাইরাসের। 

 


 Image Courtesy : REUTERS/Kate Munsch
                                           
শুনশান  সানফ্রানসিসকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। যাত্রীদের  ভীড় মিলিয়ে গেছে করোনার  আতঙ্কে। 

করোনাভাইরাসের প্রভাব - ছবি যখন কথা বলে / Effect of Corona Virus worldwide in photos
   Image Courtesy : REUTERS/Kim Kyung-Hoon
                                                     
 দক্ষিণ কোরিয়ার খয়ংসাং প্রদেশের স্টেডিয়াম । বহু মানুষ সাক্ষী থাকতো ষাঁড়ের লড়াইয়ের। এখন সব চুপচাপ। 

 Image Courtesy : REUTERS/Francois Lenoir
                                                  
 ব্রাসেলসের এক স্কুলের ছবি,  ছাত্র-ছাত্রীরা সবাই বাড়িতে  । ইউরোপে করোনার থাবা বসিয়েছে, তাই বেলজিয়াম সরকার দেশের সব স্কুল  বন্ধ  করে দিয়েছে। 


 Image Courtesy : REUTERS/Simon Dawson
                                                  
লন্ডনের কোভেন্ট গার্ডেনের এক কফি শপের  ফাঁকা চেয়ার-টেবিল। আবার কবে লোকজন আসা শুরু করবে কে জানে !

      Image Courtesy : REUTERS/Flavio Lo Scalzo
                                                    
মিলানের ড্যুয়োমো স্কয়ার। জনমানবশূন্য চত্বর।  শুধু আছে পায়রারা। 



Image Courtesy : REUTERS/Manuel Silvestri
                                                   
করোনা ভাইরাসের প্রভাব রোধ করার  জন্য  পুরো ইতালি লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতেও। ভেনিসের শেয়ার বাজার চত্বর।



 Image Courtesy : REUTERS/Soe Zeya Tun

                                                     

করোনার প্রভাব।  একদম ফাঁকা  ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর।



 Image Courtesy : REUTERS/Manuel Silvestri

প্রভাব পরেছে পর্যটনশিল্পে। নেই পর্যটকদের কোলাহল। ভেনিসের গ্র্যান্ড ক্যানাল। 



  Image Courtesy : REUTERS/Soe Zeya Tun

                                                     


থাইল্যান্ডের ফুকেট। খালি চেয়ার পাতা ধু ধু বালুময় সমুদ্র সৈকতে



  Image Courtesy : REUTERS/Sivaram V
                                                 

কেরালা  সরকার  সব সিনেমা হল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।  কোচিতে একটি জনশূন্য সিনেমা হল।



 Image Courtesy : Zhang Wujun/People’s Daily 



কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল এই মানুষটি। সেই  দিনগুলোতে এই স্বাস্থ্যকর্মীই সর্বক্ষন ছিল পাশে। এখন সম্পূর্ণ  সু্স্থ।  তাই  বাড়ি ফেরার আগে আন্তরিক আলিঙ্গন।

  
  Image Courtesy : REUTERS/David Ryder


ওয়াশিংটনের লাইফ কেয়ার সেন্টার অব কার্কল্যান্ডে করোনা ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে অনেক মানুষ । তাই আলাদা থাকতে হচ্ছে স্বামী-স্ত্রী জেন ক্যাম্পবেল এবং ডরোথি ক্যাম্পবেলকে । কাচের দেয়াল থেকে পরস্পরকে ছুঁয়ে আছে তারা। 



Image Courtesy : REUTERS/Flavio Lo Scalzo


যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। হাসপাতালে স্থান সংকুলান। তাই  তাঁবু  ফেলা হয়েছে বাইরেই, অবশ্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে । যাতায়াত করতে হচ্ছে  এক তাঁবু থেকে আরেক তাঁবু, এক রোগী থেকে আরেক রোগীর কাছে ।



  Image Courtesy : Mangiatordi/@france_exa/via REUTERS


দিনরাত এক করে চলছে রোগীদের পরিচর্যা। ২৪ ঘন্টাই থাকতে হচ্ছে সতর্ক।  কিন্তু ডাক্তার এবং নার্সরাও তো মানুষ। ক্লান্তি এসে ঘিরে ধরেছে। 



Image Courtesy : REUTERS/Flavio Lo Scalzo


ইতালির ব্রেশার স্পেডালি সিভিল হাসপাতালে কর্মরত  স্বাস্থ্য কর্মীরা।
  Image Courtesy : UEFA Pool/Handout via REUTERS


ফুটবল ম্যাচের দর্শক প্রয়াত সমর্থকের ভাস্কর্য! ভ্যালেন্সিয়া বনাম আটলান্টা ম্যাচ।



 Image Courtesy : REUTERS/David W Cerny


আলোর ঝলমলে রোশনাই, অসাধারণ গ্যালারী, সুবিন্যস্ত আসনেই সারি ।  দর্শকশূন্য । ১০ মার্চে ন্যাশনাল থিয়েটার অব প্রাগের অভ্যন্তরীণ চিত্র।



Image Courtesy : REUTERS/Guglielmo Mangiapane


ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ার বন্ধ।  এখানে পোপ ফ্রান্সিস প্রতি সপ্তাহে সমবেত জনগণের  উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করে থাকেন।
 Image Courtesy : REUTERS/Wolfgang Rattay

 জনশূন্য স্টেডিয়াম। কিছুদিন আগেও যা গমগম করত । জার্মানির মোনশিনগ্লাডবাখেতে বুরুশিয়া মোনশিনগ্লাডবাখ এবং এফ সি কোলোনের  ম্যাচ ।



                                                Image Courtesy : Mario Toniolo/via REUTERS

 জনমানবহীন রাস্তা। কেউ বেরোচ্ছে না বাইরে।  সবাই  গৃহবন্দী। ইতালির সান ফিওরানোতে।
  Image Courtesy : REUTERS/Flavio Lo Scalzo

 ক্রেতারা সব পণ্য কিনে নিয়েছে। আতংকিত সবাই। যদি না পাওয়া যায় দৈনন্দিন যোগান ! শূন্য সুপার মার্কেট। ইতালির মিলানে। 


Image Courtesy : REUTERS/Alaa al-Marjani

দর্শনার্থী শূন্য হানি বিন আরওয়ার মাজার।  ইরাকের নাজাফ শহরে অবস্থিত।  শিয়াদের  পবিত্র স্থান।
Image Courtesy : REUTERS/Nacho Doce

পর্যটকশূন্য সাগ্রাদা ফেমিলিয়া ব্যাসিলিকা, বার্সেলোনা, স্পেন।
Image: REUTERS/Yasser Bakhsh


করোনার জন্য  সৌদি সরকার উমরাহ স্থগিত ঘোষণা করে দিয়েছে ।  মসজিদুল হারামের মূল অংশে প্রবেশ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরো চত্বরে চলছে  জীবাণুমুক্ত করণ । 
  Image Courtesy : REUTERS/Bernadett Szabo


জনশূন্য হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে  লিস্ট ফেঁরেঞ্চ একাডেমি অব মিউজিক হলরুমে অর্কেস্ট্রা একই বাজাচ্ছেন মেট হ্যামোরী। দেখা যাচ্ছে  তার ছায়া।
   Image Courtesy : REUTERS/Nacho Doce


  ক'দিন আগেও যাত্রীদের কোলাহলে কান পাতা দায় হ'তো। ভিড়ে-ভিড়াক্কার থাকতো।   বার্সেলোনার এস্তাসিও ডি ফ্যানসা রেলওয়ে স্টেশন। 




                                      mage Courtesy : Samuel horstead/via REUTERS


প্রায় সব  দেশই  অন্যান্য দেশের নাগরিকদের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তার প্রভাব পড়ছে বিমানগুলিতে।  সিঙ্গাপুর থেকে ব্যাংককগামী কোনো এক বিমানের অভ্যন্তরীণ চিত্র, যা সবসময় থাকত যাত্রীমুখরিত।
  Image Courtesy : REUTERS/Vincent West


জনশূন্য বাস্ক সিটি অব ভিটোরিয়া চত্বর - ইতালি।  একজন মহিলা  হেঁটে যাচ্ছে।



 Image Courtesy : REUTERS/Chalinee Thirasupa

লড়াই করে দর্শকদের বিনোদন দেওয়াই  পেশা। কিন্তু হল  এখন পর্যটক শূন্য।  থাইল্যান্ডের পাটায়াতে। নিজেরাই প্রাকটিস করছে।  লড়াইরত দুই মোয় থাই যোদ্ধা।



 Image Courtesy : REUTERS/David Mercado


বলিভিয়ার সরকার দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি  করেছে।  বন্ধ হয়েছে স্কুল সহ সব ধরনের জমায়েত এবং অন্যান্য আমোদ-প্রমোদ স্থান ।  শূন্য শ্রেণীকক্ষ।




নিজে সচেতন থাকা  এবং অন্যকে সচেতন করা - এই দুটি পদ্ধতি বা মাধ্যম আছে যাতে  আমরা  প্রতিরোধ করতে পারি  করোনাভাইরাসকে। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে  সচেতনতাই হোক করোনা প্রতিরোধের অস্ত্র।   




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

এডগার অ্যালান পো সিরিজ ১ l Edgar Allan Poe Series

এডগার অ্যালান পো এর "দ্য মার্ডারস ইন দ্য রু মর্গ"- “The Murders in the Rue Morgue” গোয়েন্দা গল্পের প্রথম আত্মপ্রকাশ হল এবং যাত্রা শুরু হল গোয়েন্দা কাহিনীর।  এডগার অ্যালান পো: Image Courtesy : pixabay  ১৮৪১ সালের প্রথম দিক তখন, এডগার অ্যালান পো (Edgar Allan Poe) ফিলাডেলফিয়ার এক জনপ্রিয় প্রকাশনা গ্রাহামস ম্যাগাজিনের (Graham’s Magazine) সম্পাদক হিসাবে কাজ করছেন, পত্রিকায় একটি গল্প জমা দিয়েছিলেন, বহু খেটে গল্পটি লিখেছেন পো, যার নাম ছিল "মার্ডার্স ইন দ্য রু ট্রায়ানন " - “Murders in the Rue Trianon.” প্যারিসের রাস্তার পাশে একটি বাড়িতে একটি ভয়ঙ্কর জোড়া-খুনের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছেন যে বাড়ি থেকে একজনের কণ্ঠস্বর শোনা গেছে, তবে একজন বক্তা ঠিক কী ভাষা ব্যবহার করছেন সে বিষয়ে কেউ একমত হতে পারছে না। ভাষার ধাঁধায় গুলিয়ে যাচ্ছে গোটা ঘটনা। বেশ কিছু ক্লুও পাওয়া গেছে, কিন্তু সেগুলো প্রতিটি পরবর্তীটির চেয়ে আরও বিভ্রান্তিকর। প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত। পুলিশ বিভ্রান্ত। কিন্তু সি. অগাস্ট ডুপিন (C. Auguste Dupin) একজন শেভালিয়ার (chevalier) এব

বাংলা অণুগল্প- অনুগল্প সিরিজ /Bengali Story

অসীম আর মাধবীলতা অসীম.....এই যে এই দিকে, মাধবীলতা আবার ডাক দিলো,....... হ্যাঁ একদম ঠিক যাচ্ছ,......আমার হাতটা লক্ষ্য করে আস্তে আস্তে এগিয়ে এস, না না ওদিকে নয়.......ওদিকে কাঁটার ঝোপ......গায়ে ফুটে গেলে কেলেঙ্কারির একশেষ.....মাধবীলতা আর ভরসা রাখতে পারলো না, নিজেই এগিয়ে গিয়ে অসীমের হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে হাঁটতে লাগলো। অসীমের জামাকাপড় ভিজে জবজব করছে। একজায়গায় থামলো তারা, বেশ নির্জন, একটা বাড়ির ভিতরে ঢুকে এল। একটু পুরোনো বাড়ি কিন্তু বসবাসের যোগ্য। মাথাটা মুছে নাও, বেশ ভিজেছ, ঠান্ডা ব'সে গেলে জ্বর আসতে পারে....মাধবীলতা হাতের মুঠো ছেড়ে দিয়ে একটা গামছা এগিয়ে দিল। .অসীম গামছাটা নিয়ে সামনে খোলা জানালার বাইরের পুকুরটার দিকে তাকিয়ে রইল একদৃষ্টে। মাধবীলতার শাড়ির আঁচলের একটা অংশ একটু দেখা যাচ্ছে। ওদিকটায় বোধহয় কাঁটাঝোপ ছিল. কালকের মধ্যে দুটো লাশ ই ভেসে উঠবে আশা করা যায় । -------------------------------------------- ছ'য়ে ছটাক : অনুগল্প ১. জানালাটার গ্রিলের মধ্যে দিয়ে নিজের চার হাত পা বের করে দিল সে, এবার শেকল দিয়ে বাঁধার কাজ শুরু হবে। ২.আমার পেনের কালিটা ধীরে ধীরে শেষ

একটি প্রেমের গল্প : অমৃতা প্রীতম এবং সাহির লুধিয়ানভি / The love story of Amrita Pritam and Sahir Ludhianvi

প্রেমের গল্প। প্রেম ভাঙার গল্প। পাত্র-পাত্রী সাহির লুধিয়ানভি এবং অমৃতা প্রীতম। দিকপাল দুই সাহিত্যিক। কেমন ছিল সেই সম্পর্ক ? ''আমি তো জানতাম সাহির, তোমার কোনোদিনই আমার প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষার কোনো দায় ছিল না । কি যেন বলে আজকাল ! ও হ্যাঁ , কমিটমেন্ট ফোবিয়া।  ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবে কি না সেই দ্বিধাতেই তো রয়ে গেলে। কেন  যেন মনে হয় আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা  সেই গভীরতর  অতলান্ত  স্পর্শ করে নি কোনোদিন। ছুঁয়ে দেখেনি সেই ভালোবাসার তীব্র টানকে। আচ্ছা সত্যি করে বলো তো, তুমি কি সত্যি আমাকে ভালোবেসেছ  ? যতটা আমি তোমাকে বেসেছি।  "ম্যায়নে টুট  কে প্যায়ার কিয়া তুম সে / ক্যায়া  তুমনে ভী উতনা কিয়া মুঝ সে?'' অমৃতা প্রীতম এবং সাহির লুধিয়ানভি : Image Courtesy : Indian Express  ' ''মোহাব্বত কি পরখ  কা  ইয়েহি  তো রাস্তা  হ্যায় / তেরি  তালাশ মে নিকলু, তুঝে  না  পায়ু  ম্যায় '' । অমৃতা ভালোবাসা খুঁজেছেন, সেই আকুল করা ভালোবাসা,  হৃদয় তন্ত্রীতে সেই তীব্র ঝড় তোলা ভালোবাসা তাকেই তো খুঁজেছেন অমৃতা। পেয়েছেন কি ? খুঁজবো আমরা।  উপরের লাইনদুটি মজহা