সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কলকাতার জলছবি / Photos Of Old Kolkata & The Stories



কিছু তথ্য আর কিছু গল্প- এই নিয়েই বোধহয় এক একটি ছবির ইতিহাস লেখা হয়। আমার এই লেখায় স্থান করে নিয়েছে ভিন্ন স্বাদের পাঁচটি ছবি যাদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় খুব কম, তাই মনের মধ্যে লিখে নিতে হয় এর পিছনের ইতিহাস। 

আজ আমরা দেখবো কলকাতাকে। না, পটভূমিকা  ঠিক আধুনিক কলকাতা নয়, বরং আজ আমরা একটু ফিরে দেখবো পুরোনো কলকাতাকে। কিছু ছবি, যা পেয়েছি গুগল এর সৌজন্যে; ছবিগুলো ইন্টারনেটে পাওয়া যায়, শুধু লেখাটা আমার। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করেছি সেই পুরোনো কলকাতাকে ফিরে দেখতে। এক  একটা ছবিকে কেন্দ্র করে তৈরি করেছি নিজস্ব  কিছু গল্পের বুনোট।

কলকাতার জলছবি : Photos of Old Kolkata & The Stories

কলকাতার ব্যস্ততা- পুরোনো সেই ট্রাম, অপেক্ষমান লোকজন, কোথাও পৌঁছতে চাইছে , ঘরে ফেরার তাড়া-  মিলিয়ে মিশিয়ে কলকাতার একটা ব্যস্ত দিনের ছবি।রাস্তার একপাশে দাঁড়ানো ক্লান্ত গাড়িটাও একটু জিরিয়ে নিচ্ছে। জেগে উঠেছে কলকাতা। তার অবিরাম, নিরলস চলার এক টুকরো ছোঁয়াচ। 



হয়তো ব্যস্ত সময় তখন, ব্যস্ত সন্ধ্যা কোনো, আবার হয়তো সারাদিন ই চলে এমন ব্যস্ততা। ব্যস্ত বাজার - খরিদারিতে ব্যস্ত কিছুজন। কিছুজন আবার মন দিয়ে করছে দরাদরি। কিছুজনের চোখ আবার রকমারি জিনিসের গুন্ পরীক্ষা করছে। কারও বা এমনিই অলস সময় যাপন। সম্ভাবনাময় স্থান  চোরঙ্গী।  



হ্যারিসন স্ট্রীট, স্ট্র্যান্ড রোড ও বড়বাজার- ঘোড়ায়  টানা গাড়ি চলেছে তার গন্তব্যে,শহরায়ণের এক টুকরো চিত্র। বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং ছেয়ে আছে-  নিশ্চিত ও অটল তারা, পাবেই ক্রেতার খোঁজ। সালটা আনুমানিক  ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ। কোলাহল কলকাতার  বিজ্ঞাপনী চিত্র।



কলকাতার কাছেই কোনো জনমুখর রেলওয়ে স্টেশন। কিন্তু এখন প্রায় জনশূন্য, হয়তো তখন নির্জন দুপুর, অফিসে যাবার কোলাহল শেষে স্টেশনটা দুপুর রোদ্দুরে এসে একটু নিজের দিকে তাকিয়েছে।হয়তো বা তখন দুপুর ছেড়ে পড়ন্ত বিকেলের দিকে এগোচ্ছে সময়। মানুষজনের অলস, মন্থর গতি,ছোট ছেলে পুলেরাও অবাক চোখে তাকিয়ে দেখছে- হয়তো উদ্দেশ্যহীন এই দেখা। সময়কাল সম্ভবতঃ ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দ।




এইটা  আমার কলকাতা। সকাল বেলার কলকাতা। একটু পরেই ব্যস্ত হয়ে যেতে হবে নানা কাজে।  তার আগে একটু আলসেমি, ঘুম ভাঙা আর না ঘুম ভাঙার মাঝে হালকা একটু গল্পগাছা ।  এর পরেই নেমে পড়তে হবে জীবন যুদ্ধে, সারাদিনের টালমাটাল ভাঙাচোরার আগে গরম  চায়ে চুমুক। আর গোল হয়ে বসে সুখদুঃখের সাতকাহন।


( All  Images Courtesy: pinterest.com )

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস বা মগ্নচৈতন্য / What is Stream of Consciousness?

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস ? সাহিত্য ধারায় এটি এক রীতি, বলতে গেলে লেখনীর এক ধরণ। সাহিত্যের আলোচনায়  কিংবা সমালোচনায় 'স্ট্রিম অফ কনসাসনেস'- ‘Stream of Consciousness’  বা মগ্নচৈতন্য শুধুমাত্র এক শব্দ নয়, এ এক অনন্য, এক স্বতন্ত্র জঁর  ।  মগ্নচৈতন্যের   স্রোত সাহিত্যসৃষ্টির এক অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন ধারা,  যা কিনা  বিংশ শতাব্দীর কিছু বিখ্যাত লেখক   নিযুক্ত এক স্বতন্ত্র লেখন রীতি। নিজেদের লেখনীতে কিছু ঘটনা পরম্পরাকে  বর্ণনা করতে ব্যবহার করেছিলেন তারা ।  কিন্তু '  মগ্নচৈতন্য '  কী?  কেনই বা  এটি একটি 'ধারা' বা ' জঁর' ?  কিছু  পরিচিতি দিলাম বটে শুরুতে কয়েকটি শব্দকে আশ্রয় করে, তবে  বিস্তারিত আলোচনা  এগোবে আস্তে আস্তে।  এই আপাত সাধারণ এবং একইসঙ্গে ব্যাপকভাবে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা যুক্ত , সাহিত্যিক টার্মটির ধারণা  পরিষ্কার করতে সহায়তা করতে পারে হয়ত এই  আলোচনা ।   Image Courtesy: Steve Jhonson:pixels.com/free image প্রকৃতপক্ষে, ' মগ্নচৈতন্য  '   সাহিত্যের  জঁর  হিসাবে একেবারেই শুরু করেনি    তার  জীবন !  তবে ?   অবাক করা তথ্য এই  যে - সম্ভবতঃ এটি ছিল   এ

পৃথিবীর দীর্ঘতম বাস রুট - কলকাতা থেকে লন্ডন / The World’s Longest Bus Route- From London To Kolkata

পৃথিবীর দীর্ঘতম বাস রুট - কলকাতা থেকে লন্ডন / The World’s Longest Bus Route- From London To Kolkata কলকাতা থেকে লন্ডনে যাবেন? বাসে চেপে ? ঠিক এইরকমই এক পরিকল্পনা করা হয়েছিল একবার... লন্ডন - কলকাতা - কলকাতা - লন্ডন , বাস সার্ভিস তাও    আবার লাক্সারি    বাস সার্ভিস। চমকে  উঠলেন    নাকি ? তা চমক লাগানো কথা বটে ! খাস কলকাতা থেকে বাস নিয়ে যাবে কিনা সুদূর লন্ডন ! হ্যাঁ , সত্যি।   বাস বটে একখানা। নাম তার এলবার্ট।   খাসা ট্যুর প্ল্যান হয়েছিল। কি দুঃখ হচ্ছে ? যেতে পারবেন না তাই ?  এত দুঃখ করার কিচ্ছু    নেই , সেই বাসে    এখনও চড়তে পারেন আপনি। কি বলছেন , তাই আবার হয় নাকি ? খুব    হয়। কিন্তু একটু টাইম মেশিনে চড়ে বসতে হবে যে !  Image  Courtesy: reddit.com  ১৯৬০   সালে   কলকাতা   থেকে ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন যাওয়ার জন্য একটি বাস সার্ভিস। ডবল ডেকার সমস্ত রকমের লাক্সারি সুবিধাযুক্ত বাস। এলবার্ট ট্যুর।

এডগার অ্যালান পো সিরিজ ১ l Edgar Allan Poe Series

এডগার অ্যালান পো এর "দ্য মার্ডারস ইন দ্য রু মর্গ"- “The Murders in the Rue Morgue” গোয়েন্দা গল্পের প্রথম আত্মপ্রকাশ হল এবং যাত্রা শুরু হল গোয়েন্দা কাহিনীর।  এডগার অ্যালান পো: Image Courtesy : pixabay  ১৮৪১ সালের প্রথম দিক তখন, এডগার অ্যালান পো (Edgar Allan Poe) ফিলাডেলফিয়ার এক জনপ্রিয় প্রকাশনা গ্রাহামস ম্যাগাজিনের (Graham’s Magazine) সম্পাদক হিসাবে কাজ করছেন, পত্রিকায় একটি গল্প জমা দিয়েছিলেন, বহু খেটে গল্পটি লিখেছেন পো, যার নাম ছিল "মার্ডার্স ইন দ্য রু ট্রায়ানন " - “Murders in the Rue Trianon.” প্যারিসের রাস্তার পাশে একটি বাড়িতে একটি ভয়ঙ্কর জোড়া-খুনের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছেন যে বাড়ি থেকে একজনের কণ্ঠস্বর শোনা গেছে, তবে একজন বক্তা ঠিক কী ভাষা ব্যবহার করছেন সে বিষয়ে কেউ একমত হতে পারছে না। ভাষার ধাঁধায় গুলিয়ে যাচ্ছে গোটা ঘটনা। বেশ কিছু ক্লুও পাওয়া গেছে, কিন্তু সেগুলো প্রতিটি পরবর্তীটির চেয়ে আরও বিভ্রান্তিকর। প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত। পুলিশ বিভ্রান্ত। কিন্তু সি. অগাস্ট ডুপিন (C. Auguste Dupin) একজন শেভালিয়ার (chevalier) এব