সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

তরঙ্গ বহিয়া যায় - গদ্য সিরিজ/ Series Of Prose

 অত্যাশ্চর্য কবিতা : সম্পর্ক, বর্তমানের ছবি, সলিটিউড, প্রেমের মধ্যে নির্জনতা - meditation in sunlight -  presence, solitude, and love.


“…and joy instead of will.”


বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে, কত মানুষের জীবনে  গভীর রেখাপাত করেছে এই যুদ্ধের আবহ।  দীর্ঘকালের ব্যক্তিগত অশান্তির মধ্য দিয়ে জীবনযাপন, আর যুদ্ধ, তার প্রাণহীন শক্তি...  সৃজনশীল জীবনীশক্তিকে শান্ত করেছে, বিশ্রস্ত করেছে। syphoned - তা কি মৃত্যু, এমন এক  মৃত্যু যা  আগে অনুভব করায়...  বিশাল নীল আকাশের নীচে যা এক প্রজন্ম থেকে আর এক প্রজন্ম কে চালিত করে? মুগ্ধ করে,  আবার  জীবন জাগতে শুরু করে।


Image Courtesy: pixabay.com



কেমন যেন মনে হয়,  সাদা-ধোয়া ঘরটিতে পাহাড়ের দৃশ্য, সূর্যের আলো এসে পড়েছে সাদা রঙের পর্দায়, পর্দা ভেদ করে আলো আসছে মেঝেতে, একটা আলো - রেখা তৈরী হচ্ছে।পাহাড়ের উপর সূর্য উঠার সাথে সাথে,  প্রতিদিন সকালে ঘুম ভেঙে যাবে, কবিতার সাথে জেগে উঠে নিজেকেও আবিস্কার করব নতুন করে- নতুন কবিতা লিখব আবার।  প্রেম হবে - “simply on fire” , পরিণতি পাবে না, প্রেম  আজীবন বন্ধু হয়ে রবে, সবচেয়ে কাছের বন্ধু - একজন শিক্ষকের দেখা পাব - ইংরেজী সাহিত্যের শিক্ষক - “a very nice english teacher”.  


হতাশার নিরাময়ের কীভাবে হবে ? ডুবে যেতে শুরু করেছি যে ! জীবনের সাথে পরিপূরক কোন বিষয় হয়!   পৃথিবীতে, এই  খোলামেলা নির্জনতায় জীবনের কি বা মূল্য !  জীবনযাপন করা যায়, জীবন চলে যায় তার নিজস্ব ছন্দে, এবং তার নির্জনতার অত্যাশ্চর্য আড্ডা, তারপর হতাশার সাথে এবং পরে জীবন সম্পর্কে কেন একটা হতাশা জেগে উঠতে থাকে ! openheartedly সব কিছুকে কি গ্রহণ করা যায় সবকিছুকে ! complement করতে হচ্ছে, শুধু complement.  Soulful despair ... timeless consolation for loss...immense and intimate কবিতা লিখতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে ! “when i am among the trees.”


কবিতা  প্রাণময়  আর বাঙ্ময় হয়ে উঠতে থাকে, পাঠ করতে ইচ্ছে করে খোলা আকাশের নিচে,   নিরবচ্ছিন্ন সান্ত্বনার এক মানসিক ক্ষতি হয়, ক্ষতির জন্যই কি অপেক্ষায় থাকা !  দৃষ্টিকোণ এবং সম্ভাবনার বিশাল এক অন্তরঙ্গ কবিতা তৈরী হচ্ছে, আর যখন আমি গাছের মধ্যে ডুবে যাচ্ছি। 


সৃজনশীল সময়, নবজাগরণের সময় রচিত হয়েছিল অগণিত কবিতা।  creative renaissance,  কবিতার নক্ষত্রের মধ্যে উপস্থিতি, নির্জনতা এবং প্রেমের মধ্যে সম্পর্কের উপর বিশেষ বিভ্রান্তিকর প্রতিফলন ঘটে ।  দশকে দশকে তার প্রথম   সুন্দর সমুদ্র কণ্ঠে কবিতা ফুটে ওঠে; co-invocator হয়ে উঠছি আমি; lonely oceanic voice ছড়িয়ে পড়ছে...



meditation in sunlight

by may sarton 


in space in time i sit

thousands of feet above

the sea and meditate

on solitude on love 


near all is brown and poor

houses are made of earth

sun opens every door

the city is a hearth 


far all is blue and strange

the sky looks down on snow

and meets the mountain-range

where time is light not shadow 


time in the heart held still

space as the household god

and joy instead of will

knows love as solitude 


knows solitude as love

knows time as light not shadow

thousands of feet above

the sea where i am now


মেডিটেশন ইন সানলাইট 

(সূর্যের আলোতে ধ্যান) 


মে সার্টন 


যে সময়ের মধ্যে মহাকাশে আমি অপেক্ষায় থাকি

হাজার হাজার ফুট উপরে

সমুদ্র এবং ধ্যান দুটোরই অস্তিত্ব থাকে

প্রেমের চেয়ে বেশি একাকীত্বের চেয়ে বেশি।


প্রায় সবকিছুই বাদামী এবং হতশ্রী 

ঘরবাড়ি সব মাটি দিয়ে তৈরি

সূর্য প্রতিটি দরজা খুলে দেয়

শহর যেন একটি উনান 



অনেক দূরে সব নীল এবং অদ্ভুত

আকাশ তুষারের দিকে এগিয়ে আসে 

এবং পর্বতমালার সাথে মিলিত হয়

যেখানে সময় আলো নয় ছায়া



হৃদয়ে সময় স্থির

মহাশূন্যকে ঘরের দেবতাকে হিসাবে স্থান দিয়েছি

এবং ইচ্ছার পরিবর্তে আনন্দ

ভালবাসাকে নির্জনতা বলে জানি



নির্জনতাকে ভালোবাসা বলে জানতে পারি

সময়কে জানতে পারি আলো নয় ছায়া হিসেবে

হাজার হাজার ফুট উপরে

আমি এখন সেখানে যেখানে সমুদ্র


ধ্বংসাবশেষ থেকে কীভাবে উঠে এসেছেন একজন শিল্পী? শিল্পীর শক্তি এবং মানব জীবনে শিল্পের অমোঘ প্রভাব 


যখন শতাব্দীর ধূলিকণা স্থির হয়ে যায়, তখন প্রতিটি সভ্যতার যা অবশিষ্ট থাকে তা তার মতবাদ এবং তার মতাদর্শ নয়, এমনকি যুদ্ধে যাওয়ার কারণও নয়, তবে শিল্পকলা - আমাদের অর্থ অনুসন্ধানের সেই প্রতীকগুলি, বাস্তবের চেয়ে বাস্তবে পৌঁছানো,  মতবাদের চেয়ে গভীর;  বিশ্ব কী এবং  কী হতে পারে তা নিয়ে আমাদের গণনার সেই রেকর্ডগুলি;  আমরাই কি যারা সর্বোচ্চ উদ্ঘাটন?


(চলবে)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস বা মগ্নচৈতন্য / What is Stream of Consciousness?

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস ? সাহিত্য ধারায় এটি এক রীতি, বলতে গেলে লেখনীর এক ধরণ। সাহিত্যের আলোচনায়  কিংবা সমালোচনায় 'স্ট্রিম অফ কনসাসনেস'- ‘Stream of Consciousness’  বা মগ্নচৈতন্য শুধুমাত্র এক শব্দ নয়, এ এক অনন্য, এক স্বতন্ত্র জঁর  ।  মগ্নচৈতন্যের   স্রোত সাহিত্যসৃষ্টির এক অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন ধারা,  যা কিনা  বিংশ শতাব্দীর কিছু বিখ্যাত লেখক   নিযুক্ত এক স্বতন্ত্র লেখন রীতি। নিজেদের লেখনীতে কিছু ঘটনা পরম্পরাকে  বর্ণনা করতে ব্যবহার করেছিলেন তারা ।  কিন্তু '  মগ্নচৈতন্য '  কী?  কেনই বা  এটি একটি 'ধারা' বা ' জঁর' ?  কিছু  পরিচিতি দিলাম বটে শুরুতে কয়েকটি শব্দকে আশ্রয় করে, তবে  বিস্তারিত আলোচনা  এগোবে আস্তে আস্তে।  এই আপাত সাধারণ এবং একইসঙ্গে ব্যাপকভাবে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা যুক্ত , সাহিত্যিক টার্মটির ধারণা  পরিষ্কার করতে সহায়তা করতে পারে হয়ত এই  আলোচনা ।   Image Courtesy: Steve Jhonson:pixels.com/free image প্রকৃতপক্ষে, ' মগ্নচৈতন্য  '   সাহিত্যের  জঁর  হিসাবে একেবারেই শুরু করেনি    তার  জীবন !  তবে ?   অবাক করা তথ্য এই  যে - সম্ভবতঃ এটি ছিল   এ

এডগার অ্যালান পো সিরিজ ১ l Edgar Allan Poe Series

এডগার অ্যালান পো এর "দ্য মার্ডারস ইন দ্য রু মর্গ"- “The Murders in the Rue Morgue” গোয়েন্দা গল্পের প্রথম আত্মপ্রকাশ হল এবং যাত্রা শুরু হল গোয়েন্দা কাহিনীর।  এডগার অ্যালান পো: Image Courtesy : pixabay  ১৮৪১ সালের প্রথম দিক তখন, এডগার অ্যালান পো (Edgar Allan Poe) ফিলাডেলফিয়ার এক জনপ্রিয় প্রকাশনা গ্রাহামস ম্যাগাজিনের (Graham’s Magazine) সম্পাদক হিসাবে কাজ করছেন, পত্রিকায় একটি গল্প জমা দিয়েছিলেন, বহু খেটে গল্পটি লিখেছেন পো, যার নাম ছিল "মার্ডার্স ইন দ্য রু ট্রায়ানন " - “Murders in the Rue Trianon.” প্যারিসের রাস্তার পাশে একটি বাড়িতে একটি ভয়ঙ্কর জোড়া-খুনের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছেন যে বাড়ি থেকে একজনের কণ্ঠস্বর শোনা গেছে, তবে একজন বক্তা ঠিক কী ভাষা ব্যবহার করছেন সে বিষয়ে কেউ একমত হতে পারছে না। ভাষার ধাঁধায় গুলিয়ে যাচ্ছে গোটা ঘটনা। বেশ কিছু ক্লুও পাওয়া গেছে, কিন্তু সেগুলো প্রতিটি পরবর্তীটির চেয়ে আরও বিভ্রান্তিকর। প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত। পুলিশ বিভ্রান্ত। কিন্তু সি. অগাস্ট ডুপিন (C. Auguste Dupin) একজন শেভালিয়ার (chevalier) এব

বাংলা অণুগল্প- অনুগল্প সিরিজ /Bengali Story

অসীম আর মাধবীলতা অসীম.....এই যে এই দিকে, মাধবীলতা আবার ডাক দিলো,....... হ্যাঁ একদম ঠিক যাচ্ছ,......আমার হাতটা লক্ষ্য করে আস্তে আস্তে এগিয়ে এস, না না ওদিকে নয়.......ওদিকে কাঁটার ঝোপ......গায়ে ফুটে গেলে কেলেঙ্কারির একশেষ.....মাধবীলতা আর ভরসা রাখতে পারলো না, নিজেই এগিয়ে গিয়ে অসীমের হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে হাঁটতে লাগলো। অসীমের জামাকাপড় ভিজে জবজব করছে। একজায়গায় থামলো তারা, বেশ নির্জন, একটা বাড়ির ভিতরে ঢুকে এল। একটু পুরোনো বাড়ি কিন্তু বসবাসের যোগ্য। মাথাটা মুছে নাও, বেশ ভিজেছ, ঠান্ডা ব'সে গেলে জ্বর আসতে পারে....মাধবীলতা হাতের মুঠো ছেড়ে দিয়ে একটা গামছা এগিয়ে দিল। .অসীম গামছাটা নিয়ে সামনে খোলা জানালার বাইরের পুকুরটার দিকে তাকিয়ে রইল একদৃষ্টে। মাধবীলতার শাড়ির আঁচলের একটা অংশ একটু দেখা যাচ্ছে। ওদিকটায় বোধহয় কাঁটাঝোপ ছিল. কালকের মধ্যে দুটো লাশ ই ভেসে উঠবে আশা করা যায় । -------------------------------------------- ছ'য়ে ছটাক : অনুগল্প ১. জানালাটার গ্রিলের মধ্যে দিয়ে নিজের চার হাত পা বের করে দিল সে, এবার শেকল দিয়ে বাঁধার কাজ শুরু হবে। ২.আমার পেনের কালিটা ধীরে ধীরে শেষ