সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সুইজারল্যান্ডের আত্মহত্যার সহযোগী অনুমোদিত ডিভাইস /Switzerland Approves a Device for Assisted Suicide

 

মৃত্যু সহায়তা কারী যন্ত্র। যন্ত্র তো মানুষকে জীবন দেয়। প্রাণ ও কেড়ে নেয় তা?





সুইজারল্যান্ড  আত্মহত্যার সহযোগী একটি ডিভাইস অনুমোদন করেছে/Switzerland Approves a Device for Assisted Suicide
সারকোফেগাস: Image Courtesy: wikimedia common


একটি ক্যাপসুল, সাই-ফাই ফিল্ম থেকে বেরিয়ে  এসেছে, সবাই অবাক হয়ে দেখছে কিন্তু তা সুইজারল্যান্ডে রীতিমত বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।  বিতর্কের বিষয় স্বয়ং হাইবারনেশন সেলের মতো দেখতে এই যন্ত্র, যা কিছুটা স্পেস শিপের মতো দেখতে, তা আসলে মৃত্যুতে সহায়তা বা আত্মহত্যায় সহায়তা ( Assisted Suicide/ Assisted Death) করার একটি যন্ত্র।  দেশটি সম্প্রতি তার সহায়ক আত্মহত্যা আইনের পরিধির (Assisted Suicide Laws) অধীনে "কফিনের মতো ক্যাপসুল" - “Coffin-like Capsule” কে আইনি ছাড়পত্র দিয়েছে।


এই যন্ত্র- মৃত্যুর প্রক্রিয়া কিছুটা এই প্রকার : সারকোফেগাসের ( sarcophagus ) সংক্ষিপ্ত "সারকো"- “sarco,” নামে ক্যাপসুলটি "দ্রুত এবং ব্যথাহীন" বা “quick and painless”  মৃত্যু নিশ্চিত করবে।  সারকো হাইপোক্সিয়ার (hypoxia) মাধ্যমে মৃত্যুকে প্ররোচিত করবে এই যন্ত্র; জীবনের শেষ দিনটিকে সুনিশ্চিত করার জন্য ক্যাপসুলটি নাইট্রোজেন  পূর্ণ করা হবে এবং অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে "চোখের পলকের মধ্যে।"  কফিন-আকৃতির পডের মধ্যে ঢোকার আগে সয়ংক্রিয় যন্ত্রটির সমস্ত প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একটি বোতাম টিপতে হবে এবং তার  আগে পূর্ব-রেকর্ড করা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, রিপোর্ট এমনই বলছে। ইতিমধ্যে মেশিনটি একটি দীর্ঘ আইনি পর্যালোচনার বা লিগ্যাল রিভিউ ( legal review) এর রাস্তা পার করেছে এবং আগামী বছরের প্রথম দিকে এটি ব্যবহার করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


সহায়ক আত্মহত্যা -"Assisted Suicide"  ইউথানেশিয়া( Euthanasia) থেকে আলাদা, প্রক্রিয়াগত ভাবে আলাদা। ইউথানেশিয়া পদ্ধতিতে কারো জীবন শেষ করার জন্য প্রাণঘাতী ওষুধপূর্ন ইনজেকশন বা লিথাল ড্রাগস (lethal drugs ) ব্যবহার করা হয়, সহায়ক আত্মহত্যা প্রয়োগ করা হবে তখনই যখন কেউ মারা যেতে ইচ্ছুক, এবং ব্যক্তি নিজে থেকে ওষুধটি প্রয়োগ করবে।  ডাক্তাররা এই প্রক্রিয়াটির জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধগুলি লিখে দিতে পারেন, দেখতে হবে এটি অন্য কোনো "স্বার্থান্বেষী" উদ্দেশ্যের জন্য যেন ব্যবহৃত না হয়।


 ভারতে, ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট "প্যাসিভ ইউথানেসিয়া" - “Passive Euthanasia” কে  আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে।  এর মানে, দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত অসুস্থ রোগীরা একটি "লিভিং উইল"- “living will” তৈরি করতে পারেন যেখানে চিকিত্সকদের নির্দিষ্ট শর্তে  লাইফ সাপোর্ট ( Life Support )প্রত্যাহার করার বা খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আইনের  নিষ্ক্রিয়তা বা সক্রিয়তা এখানে স্পষ্ট - জীবন রক্ষার কৌশলগুলি বা লাইফ সেভিং টেকনিক( life saving technique) গুলি সম্পর্কে আলোচনা খুব সচেতনভাবেই এখানে বাদ দেওয়া হয়েছ। 


“life and death are inseparable. every moment our bodies undergo change… life is not disconnected from death. dying is a part of the process of living,”  উল্লেখ করেছেন বিচারপতি ডি.ই. চন্দ্রচূড়,( Justice D.Y. Chandrachud), যিনি রায় প্রদানকারী বেঞ্চের অংশ ছিলেন। জীবন এবং মৃত্যু অবিচ্ছেদ্য।  প্রতি মুহুর্তে আমাদের শরীর পরিবর্তন হয়... জীবন মৃত্যু থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না।  মৃত্যু বেঁচে থাকার প্রক্রিয়ার একটি অংশ ।


এই আত্মহত্যায় সহযোগী মৃত্যু ক্যাপসুলের ধারণা আসলে মানুষকে জীবন শেষ করে দেওয়ার সক্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে, দাঁড় করিয়ে দেয়  দার্শনিক, আদর্শগত এবং রাজনৈতিক ঘটনাক্রমে পরিপূর্ণ প্রশ্নের সামনে।


 অনেক সংশয় দেখা দিয়েছে এই প্রক্রিয়া নিয়ে, এর সাথে ইন্ধন যুগিয়েছে ইউথানেশিয়ার নৈতিক দিকগুলি নিয়ে চলা চারপাশের বিতর্ক।  সমালোচকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন  যে ভবিষ্যতে এই ফিউচারিস্টিক ডিজাইনকে (futuristic design) কে "মহিমান্বিত"  বা “glorified” না করে ফেলে কেউ।   কেউ কেউ এর প্রক্রিয়াটিকে বা মেকানিজমকে (mechanism) একটি "গ্যাস চেম্বারের" - “gas chamber” সাথে তুলনা করেছেন - কারণ এটি অক্সিজেনকে নাইট্রোজেনের সাথে প্রতিস্থাপন করে মৃত্যুকে প্ররোচিত করে।


সুইজারল্যান্ডে সহায়তায় আত্মহত্যার বিষয়ে আরও প্রগতিশীল বা প্রগ্রেসিভ অবস্থানে  রয়েছে যেখানে মানুষজন - বেশিরভাগই যারা মারাত্মকভাবে অসুস্থ - তাদের নিজের শর্তে  জীবন শেষ করার বিকল্প রয়েছে,  ডেডিকেটেড সংস্থাগুলি নিরন্তর কাজ করে চলেছে তাদের জন্য, যাতে প্রদত্ত পরিষেবাগুলির ব্যবহার সর্বোচ্চ হতে পারে৷  যদিও সক্রিয় ইউথানেশিয়া (Active Euthanasia) সুইজারল্যান্ডে নিষিদ্ধ, কিন্তু কিছু আইনি প্রক্রিয়া বাদ দিলে আত্মহত্যাকে বৈধতা প্রদান করেছে এই দেশ।  ডিগনিটাস এবং এক্সিটের (Dignitas and Exit) মতো সংস্থাগুলি এই প্রক্রিয়াটিকে ফ্যাসিলিটেট করে,  সহজতর করে এবং অন্যান্য দেশের অনেক লোক প্রায়ই তাদের পরিষেবাগুলি পেতে সুইজারল্যান্ডে আসে।


বর্তমানে, সুইজারল্যান্ডে সাহায্যকারী আত্মহত্যার- Assisted Suicide - ঘটনা ঘটে সোডিয়াম পেন্টোবারবিটাল (Sodium Pentobarbital ) খাওয়ার মাধ্যমে, একটি অপাচ্য যৌগ বা indigestible compound যা সাধারণত চেতনানাশক এনেসথেসিয়া (anaesthetic) হিসাবে ব্যবহৃত হয়।


সোডিয়াম পেন্টোবারবিটাল (sodium pentobarbital) প্রেসক্রাইব করার জন্য এবং ব্যক্তির মানসিক দৃরতা নিশ্চিত করার জন্য  বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের থাকতে হবে।  " আমরা প্রক্রিয়াটি থেকে যেকোনো ধরনের সাইকিয়াট্রিক পর্যালোচনা বা রিভিউ অপসারণ করতে চাই এবং ব্যক্তিকে নিজেরাই পদ্ধতিটি নিয়ন্ত্রণ করার অনুমতি দিতে চাই, "ফিলিপ নিটস্কে, (philip nitschke) যিনি ডিভাইসটির উদ্ভাবনের পিছনে ছিলেন, সুইস ইনফোকে (swiss info) বলেছেন। পরিবর্তে, তিনি আরও যোগ করেছেন,  যে একজন ব্যক্তির মানসিক ক্ষমতা মূল্যায়ন করার জন্য একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন স্ক্রীনিং সিস্টেমের (artificial intelligence screening system) এর প্রয়োজনীয়তা ছিল,  মূল উদ্দেশ্যও ছিল।


সুইজারল্যান্ডে, আমরা জানি যে এই বিকল্পটি আমাদের জন্য উন্মুক্ত আছে যদি আমাদের প্রয়োজন হয়... সহায়ক আত্মহত্যার বা সুইসাইডের (assisted suicide) ।যদিও এমন ঘটনা বিরল, এমনকি সুইজারল্যান্ডেও।  কিন্তু অনেক মানুষ এটা জেনে আশ্বস্ত হবে যে তাদের কাছে এই বিকল্পটি আছে যদি তারা এটি কোনদিনও ব্যবহার নাও করে,” সামিয়া হার্স্ট-মজনো, জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিশাস্ত্রের অধ্যাপক, (Samia Hurst-Majno, a professor of ethics at the university of geneva) বলেছেন।  ব্যবহার শুরু হয়নি, তবে ডিভাইসটি বা যন্ত্রটির যে অনেক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে তা বলাই বাহুল্য।


বর্তমান ডিভাইসের সাথে বিতর্ক হল যে এটি "এক মিনিটেরও কম সময়ে" “less than a minute” — মৃত্যুর অনুমতি দেয় - এমন একটি সময়সীমা যা যুক্তিযুক্তভাবে মানবিক হলেও, একবার বোতাম টিপলে সিদ্ধান্তটি উল্টানোর বা রিভার্স এ যাবার জন্য কোনও জায়গা পাওয়া যাবে না ; মৃত্যুর কাছে আত্মসমর্পন করা ছাড়া উপায় থাকবে না।


যেসব দেশে সহায়তাকারী আত্মহত্যা বা অ্যাসিস্টেড ডেথ , ইথানেশিয়া, বা সহায়তায় মৃত্যু (শুধুমাত্র দুরারোগ্য অসুখের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য - টার্মিনালি ইল - terminally ill যাকে বলে) বৈধ, সেখানে আইনগত বাধা নিষেধ ও ভিন্ন।  বেলজিয়ামের মতো কিছু জায়গায়, একজন ব্যক্তির জীবন শেষ করার সিদ্ধান্তটি ন্যায্য, যুক্তিযুক্ত বা জাস্টিফাই  কিনা এবং মৃত্যুর পদ্ধতি সম্পর্কে সেই ব্যক্তি সম্পূর্ন অবহিত কিনা তা পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে খতিয়ে দেখে বিবেচনা করার জন্য পেশাদার চিকিৎসাদের এক দল থাকে।  প্রয়োজন পরে অনেক জরুরী কাগজপত্রের। তারপরে স্বেচ্ছা মৃত্যু আগ্রহী কে নিজেকেই মৃত্যু পদ্ধতিটি সম্পাদন করতে হয়।   চিকিৎসকেরা শুধুমাত্র স্বেচ্ছা মৃত্যু ইচ্ছুক একজন ব্যক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধগুলি এবং সম্পর্কিত জিনিসপত্র নির্ধারণ করতে পারেন যেগুলি মৃত্যুকে প্ররোচিত করে, নির্ধারণ করেন এমন ওষুধের যা স্ব-পরিচালনা বা  সেলফ অ্যাডমিনিস্টার ( self administer) করতে পারে মৃত্যু আগ্রহী ব্যক্তি।  বিষয়টির কেন্দ্রবিন্দুতে, যা আছে তা হল,  একজনের জীবন শেষ করার নৈতিকতা বা এথিক্স (ethics), মৃত্যুকে চূড়ান্ত রূপে কাছে ডেকে নিতে পারা, ফাইনাল কল করতে পারা, সেই মানসিক শক্তিও।


তদুপরি, বেশ কয়েকটি দেশ শেষ মুহূর্তে ইচ্ছামৃত্যু নিশ্চিত করতে আগ্রহী মানুষের মন বা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার এক সম্ভাবনার কথা মাথায় রাখে, বিকল্পের কথা বলে এবং অনুমতি দেয়।  উদাহরণ স্বরূপ, বেলজিয়ামে, এমন একটি দেশ যেখানে বিশ্বের অন্যতম উদারনৈতিক আইন বা লিবারাল ল ( libaral law) রয়েছে বলে ধরা হয় অ্যাসিস্টেড ডেথ এর , যেখানে ডাক্তারদের হাতে থাকে মৃত্যুতে সহায়তাকারী প্রয়োজনীয় ওষুধগুলি, প্রশাসনিক সমস্ত সিদ্ধান্ত পরিচালনা করেন ডাক্তাররা, সেখানে একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যে কোনও সময় সিদ্ধান্ত থেকে সরে যেতে পারে মৃত্যু অপেক্ষায় থাকা মানুষটি।  "আপনার একটি লাইফলাইন আছে।  আপনি বলুন আপনি প্রস্তুত?  আপনি কি সত্যিই যেতে চান?  একেবারে শেষ অবধি, আমরা জিজ্ঞাসা করি আপনি কি যেতে চান, কারণ ফেরার কোন পথ নেই।  তারপর আমরা ইনজেকশন দিই,” বেলজিয়াম থেকে ড. মার্ক ভ্যান হোয়ে (dr. marc van hoey)  বলেছেন।


জীবনের উপর অটোনমির আবেদন অনস্বীকার্য, বৃহত্তর স্বার্থে আবেদন তো বটেই।  ভারতের এক দম্পতি সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখেছিলেন, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা তাঁদের জীবনে নেমে আসার আগে আত্মহত্যার অনুমতি চেয়েছিলেন তাঁরা।  তাদের যুক্তি, এই দম্পতিদের মধ্যে কেউ একজন মারা গেলে অন্যজন একা এবং নিঃসঙ্গ হয়ে পরবেন। ভারতে এখনও ব্যাপক আইনি বিতর্কের মধ্যে রয়েছে আত্মহত্যার অধিকার, খুব স্বচ্ছ নয় এই ধারণা । সুইজারল্যান্ডের এই অ্যাডভান্সড টেকনোলজি( advanced technology) এক বিকল্পের সন্ধান দিল,  অটোনমি হস্তান্তর হয়ে যেতে পারে তাঁদের কাছে অ্যাসিস্টেড ডেথ বা সাহায্যকারী মৃত্যুর সন্ধান করছে যারা।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস বা মগ্নচৈতন্য / What is Stream of Consciousness?

কাকে বলে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস ? সাহিত্য ধারায় এটি এক রীতি, বলতে গেলে লেখনীর এক ধরণ। সাহিত্যের আলোচনায়  কিংবা সমালোচনায় 'স্ট্রিম অফ কনসাসনেস'- ‘Stream of Consciousness’  বা মগ্নচৈতন্য শুধুমাত্র এক শব্দ নয়, এ এক অনন্য, এক স্বতন্ত্র জঁর  ।  মগ্নচৈতন্যের   স্রোত সাহিত্যসৃষ্টির এক অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন ধারা,  যা কিনা  বিংশ শতাব্দীর কিছু বিখ্যাত লেখক   নিযুক্ত এক স্বতন্ত্র লেখন রীতি। নিজেদের লেখনীতে কিছু ঘটনা পরম্পরাকে  বর্ণনা করতে ব্যবহার করেছিলেন তারা ।  কিন্তু '  মগ্নচৈতন্য '  কী?  কেনই বা  এটি একটি 'ধারা' বা ' জঁর' ?  কিছু  পরিচিতি দিলাম বটে শুরুতে কয়েকটি শব্দকে আশ্রয় করে, তবে  বিস্তারিত আলোচনা  এগোবে আস্তে আস্তে।  এই আপাত সাধারণ এবং একইসঙ্গে ব্যাপকভাবে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা যুক্ত , সাহিত্যিক টার্মটির ধারণা  পরিষ্কার করতে সহায়তা করতে পারে হয়ত এই  আলোচনা ।   Image Courtesy: Steve Jhonson:pixels.com/free image প্রকৃতপক্ষে, ' মগ্নচৈতন্য  '   সাহিত্যের  জঁর  হিসাবে একেবারেই শুরু করেনি    তার  জীবন !  তবে ?   অবাক করা তথ্য এই  যে - সম্ভবতঃ এটি ছিল   এ

একটি প্রেমের গল্প : অমৃতা প্রীতম এবং সাহির লুধিয়ানভি / The love story of Amrita Pritam and Sahir Ludhianvi

প্রেমের গল্প। প্রেম ভাঙার গল্প। পাত্র-পাত্রী সাহির লুধিয়ানভি এবং অমৃতা প্রীতম। দিকপাল দুই সাহিত্যিক। কেমন ছিল সেই সম্পর্ক ? ''আমি তো জানতাম সাহির, তোমার কোনোদিনই আমার প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষার কোনো দায় ছিল না । কি যেন বলে আজকাল ! ও হ্যাঁ , কমিটমেন্ট ফোবিয়া।  ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবে কি না সেই দ্বিধাতেই তো রয়ে গেলে। কেন  যেন মনে হয় আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা  সেই গভীরতর  অতলান্ত  স্পর্শ করে নি কোনোদিন। ছুঁয়ে দেখেনি সেই ভালোবাসার তীব্র টানকে। আচ্ছা সত্যি করে বলো তো, তুমি কি সত্যি আমাকে ভালোবেসেছ  ? যতটা আমি তোমাকে বেসেছি।  "ম্যায়নে টুট  কে প্যায়ার কিয়া তুম সে / ক্যায়া  তুমনে ভী উতনা কিয়া মুঝ সে?'' অমৃতা প্রীতম এবং সাহির লুধিয়ানভি : Image Courtesy : Indian Express  ' ''মোহাব্বত কি পরখ  কা  ইয়েহি  তো রাস্তা  হ্যায় / তেরি  তালাশ মে নিকলু, তুঝে  না  পায়ু  ম্যায় '' । অমৃতা ভালোবাসা খুঁজেছেন, সেই আকুল করা ভালোবাসা,  হৃদয় তন্ত্রীতে সেই তীব্র ঝড় তোলা ভালোবাসা তাকেই তো খুঁজেছেন অমৃতা। পেয়েছেন কি ? খুঁজবো আমরা।  উপরের লাইনদুটি মজহা

বাংলা অণুগল্প- অনুগল্প সিরিজ /Bengali Story

অসীম আর মাধবীলতা অসীম.....এই যে এই দিকে, মাধবীলতা আবার ডাক দিলো,....... হ্যাঁ একদম ঠিক যাচ্ছ,......আমার হাতটা লক্ষ্য করে আস্তে আস্তে এগিয়ে এস, না না ওদিকে নয়.......ওদিকে কাঁটার ঝোপ......গায়ে ফুটে গেলে কেলেঙ্কারির একশেষ.....মাধবীলতা আর ভরসা রাখতে পারলো না, নিজেই এগিয়ে গিয়ে অসীমের হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে হাঁটতে লাগলো। অসীমের জামাকাপড় ভিজে জবজব করছে। একজায়গায় থামলো তারা, বেশ নির্জন, একটা বাড়ির ভিতরে ঢুকে এল। একটু পুরোনো বাড়ি কিন্তু বসবাসের যোগ্য। মাথাটা মুছে নাও, বেশ ভিজেছ, ঠান্ডা ব'সে গেলে জ্বর আসতে পারে....মাধবীলতা হাতের মুঠো ছেড়ে দিয়ে একটা গামছা এগিয়ে দিল। .অসীম গামছাটা নিয়ে সামনে খোলা জানালার বাইরের পুকুরটার দিকে তাকিয়ে রইল একদৃষ্টে। মাধবীলতার শাড়ির আঁচলের একটা অংশ একটু দেখা যাচ্ছে। ওদিকটায় বোধহয় কাঁটাঝোপ ছিল. কালকের মধ্যে দুটো লাশ ই ভেসে উঠবে আশা করা যায় । -------------------------------------------- ছ'য়ে ছটাক : অনুগল্প ১. জানালাটার গ্রিলের মধ্যে দিয়ে নিজের চার হাত পা বের করে দিল সে, এবার শেকল দিয়ে বাঁধার কাজ শুরু হবে। ২.আমার পেনের কালিটা ধীরে ধীরে শেষ