সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অ্যান ফ্র্যাঙ্ক এবং হলোকাস্ট সাহিত্য/ Anne Frank and Holocaust Literature

অ্যান ফ্র্যাঙ্ক এবং হলোকাস্ট সাহিত্য/ Anne Frank and Holocaust Literature  অ্যান ফ্র্যাঙ্ক এর ডায়েরি ৭৫ বছর পরেও সাহিত্যে, বিশেষ করে হলোকাস্ট( Holocaust) সাহিত্যে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করেছে। কেন আজও প্রাসঙ্গিক এই ডায়েরি?    অ্যান ফ্র্যাঙ্ক এর ডায়েরি এবং হলোকাস্ট সাহিত্য/ Anne Frank’s Diary and holocaust literature  অ্যান ফ্র্যাঙ্ক এর ডায়েরি যথাক্রমে থিয়েটার, চলচিত্র এবং টিভি সিরিজের জন্য অনেকবার অ্যাডাপ্টেড  হয়েছে। অ্যানিমেশন, কমিক্সের চরিত্রে এবং ছোটোদের বইতেও এই ডায়েরির ঘটনার বিবরণ, চরিত্রদের  দেখতে পাই আমরা- বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ এবং সর্বোপরি বেঁচে থাকার আশা- যাকে বলতে পারি "অ্যাবাউট হোপ"- “about hope” এর মূল উপজীব্য হয়ে উঠেছে বারে বারে। অ্যান ফ্র্যাঙ্ককে জানতে চেয়েছি আমরা, কেমন ছিল তার লুকিয়ে থাকার দিনগুলো, ডায়েরির পাতায় পাতায় খুজেঁ নিতে চেয়েছি তাকে। অনেক কল্পকাহিনীর ভিত্তি করা হয়েছে এই ডায়েরিকে, যা সবচেয়ে বেশী ডানা মেলেছে ফিলিপ রথের লেখায়।  সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্ল্যাক হিউমারের ( black humour) উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে এই ডায়েরির কন্টেন্ট।  বেস্ট সেলা

আমেরিকায় ভারতীয় লেখকেরা/Indian writers in america

ভারতীয় ভ্রমণ- লেখক এবং  ১৯ শতকের আমেরিকা ভ্রমণ/ 19th Century America and Early Indian Travel Writers  ইশুরী দাস এবং জাহাঙ্গীর কোঠারী ,  প্রথম  ভারতীয় যাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের  বিবরণ আমরা লিখিত আকারে পাই। কেমন ছিল তাঁদের সেই অভিজ্ঞতা?  দাস এবং জাহাঙ্গীর কোঠারী , প্রথম ভারতীয় যাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের বিবরণ আমরা লিখিত আকারে পাই। কেমন ছিল তাঁদের সেই অভিজ্ঞতা? জাহাঙ্গীর কোঠারী : Image Courtesy : wikimedia common  42nd street, new york, circa 1880. | Image Courtesy : archives/wikimedia commons.    ১৯ শতকের সময়কাল, দু'জন ভারতীয় নাগরিক বেরিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে, তবে এক সঙ্গে নয়, মধ্য দিয়ে পেরিয়ে গেছে চল্লিশ বছর। এই এতো সময়ের  ব্যবধানে ভ্রমণ কাহিনীর মধ্যে কিন্তু কোনো অভূতপূর্ব এলিয়েন উপাদান থাকার সম্ভবনা নেই। যা থাকার তা হল বিদেশের মাটিতে দুজনের প্রায় একই ধরণের  অভিজ্ঞতা । ইশুরী দাস, উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের একজন মিশনারী বা ধর্মপ্রচারক, তার আমেরিকা - আগমনের খবর ছড়িয়ে পরার উত্তেজনা বর্ণনা করেছেন এই ভাবে:    “natives of winchester had heard of the

রুমি ও তাঁর কবিতা / Rumi and his Poetry

প্রেম নয়, বরং বলা ভালো অপ্রেম আর প্রেমের মধ্যে প্রেমকে বেছে নেওয়ার শিল্প, প্রেমকে বেছে নেওয়ার আর্ট : রুমির অন্টিডোট,  মানুষের ট্র্যাজেডির প্রতি। জালালউদ্দিন মহম্মদ রুমি: Image Courtesy: wikimedia common “you’ll long for me when i’m gone… you’ll kiss the headstone of my grave… kiss my face instead! "আমি চলে গেলে তুমি আমার জন্য আকুল হবে... তুমি আমার কবরের শিরে চুম্বন করবে... পরিবর্তে আমার মুখ চুম্বন কর! “what exists, exists so that it can be lost and become precious,” - যা আছে, যা বিদ্যমান, তা আছেই  যাতে তা হারিয়ে যায় আর মূল্যবান হয়ে ওঠে - লিসেল মুলার (lisel mueller) তার ছোট, অত্যাশ্চর্য কবিতায় লিখেছেন আমাদের নশ্বর জীবনের অর্থ কী। বর্ণনা করেছেন এভাবেই। মূল্যবান হয়ে ওঠা—এটাই প্রেমের সার, প্রেমের এক ও একমাত্র লক্ষ্য, ভালোবাসার সত্য, ভালোবাসার সবথেকে বড় পুরস্কার।  মৃত্যুর প্রতিদান।  একটা মিরাকেল, একটা ম্যাজিক - এই প্রেম, এই ভালোবাসা - মানুষের জীবনের এক অলৌকিক ঘটনা - একটা ট্রান্সইয়েন্স, এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে কেবল সহনীয়ই নয় বরং সুন্দর করে তোলে। হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগায়-  যখন

এডগার অ্যালান পো সিরিজ ১ l Edgar Allan Poe Series

এডগার অ্যালান পো এর "দ্য মার্ডারস ইন দ্য রু মর্গ"- “The Murders in the Rue Morgue” গোয়েন্দা গল্পের প্রথম আত্মপ্রকাশ হল এবং যাত্রা শুরু হল গোয়েন্দা কাহিনীর।  এডগার অ্যালান পো: Image Courtesy : pixabay  ১৮৪১ সালের প্রথম দিক তখন, এডগার অ্যালান পো (Edgar Allan Poe) ফিলাডেলফিয়ার এক জনপ্রিয় প্রকাশনা গ্রাহামস ম্যাগাজিনের (Graham’s Magazine) সম্পাদক হিসাবে কাজ করছেন, পত্রিকায় একটি গল্প জমা দিয়েছিলেন, বহু খেটে গল্পটি লিখেছেন পো, যার নাম ছিল "মার্ডার্স ইন দ্য রু ট্রায়ানন " - “Murders in the Rue Trianon.” প্যারিসের রাস্তার পাশে একটি বাড়িতে একটি ভয়ঙ্কর জোড়া-খুনের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছেন যে বাড়ি থেকে একজনের কণ্ঠস্বর শোনা গেছে, তবে একজন বক্তা ঠিক কী ভাষা ব্যবহার করছেন সে বিষয়ে কেউ একমত হতে পারছে না। ভাষার ধাঁধায় গুলিয়ে যাচ্ছে গোটা ঘটনা। বেশ কিছু ক্লুও পাওয়া গেছে, কিন্তু সেগুলো প্রতিটি পরবর্তীটির চেয়ে আরও বিভ্রান্তিকর। প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত। পুলিশ বিভ্রান্ত। কিন্তু সি. অগাস্ট ডুপিন (C. Auguste Dupin) একজন শেভালিয়ার (chevalier) এব

সুইজারল্যান্ডের আত্মহত্যার সহযোগী অনুমোদিত ডিভাইস /Switzerland Approves a Device for Assisted Suicide

  মৃত্যু সহায়তা কারী যন্ত্র। যন্ত্র তো মানুষকে জীবন দেয়। প্রাণ ও কেড়ে নেয় তা? সারকোফেগাস: Image Courtesy: wikimedia common একটি ক্যাপসুল, সাই-ফাই ফিল্ম থেকে বেরিয়ে  এসেছে, সবাই অবাক হয়ে দেখছে কিন্তু তা সুইজারল্যান্ডে রীতিমত বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।  বিতর্কের বিষয় স্বয়ং হাইবারনেশন সেলের মতো দেখতে এই যন্ত্র, যা কিছুটা স্পেস শিপের মতো দেখতে, তা আসলে মৃত্যুতে সহায়তা বা আত্মহত্যায় সহায়তা ( Assisted Suicide/ Assisted Death) করার একটি যন্ত্র।  দেশটি সম্প্রতি তার সহায়ক আত্মহত্যা আইনের পরিধির (Assisted Suicide Laws) অধীনে "কফিনের মতো ক্যাপসুল" - “Coffin-like Capsule” কে আইনি ছাড়পত্র দিয়েছে। এই যন্ত্র- মৃত্যুর প্রক্রিয়া কিছুটা এই প্রকার : সারকোফেগাসের ( sarcophagus ) সংক্ষিপ্ত "সারকো"- “sarco,” নামে ক্যাপসুলটি "দ্রুত এবং ব্যথাহীন" বা “quick and painless”  মৃত্যু নিশ্চিত করবে।  সারকো হাইপোক্সিয়ার (hypoxia) মাধ্যমে মৃত্যুকে প্ররোচিত করবে এই যন্ত্র; জীবনের শেষ দিনটিকে সুনিশ্চিত করার জন্য ক্যাপসুলটি নাইট্রোজেন  পূর্ণ করা হবে এবং অক্সিজেন সরবরাহ ব

টুকরো লেখা এবং অন্যান্য / Bengali Prose

আমরা যে চলে যাব একদিন, কোথায় যেন চলে যেতে হবে সবাইকে একদিন! আমরা  নিশ্চিতভাবে জানি যে একদিন মরে যাব আমরা তাও কি করে জানি বুঝে নি, কি করে জানি ধরতে পেরে যাই কি সব, কি সব জিনিস, কি কি সব স্মৃতি যেন , কীভাবে যেন  চিরটাকাল  থাকবে, থেকে যাবে, কি করে বুঝে যাই এমনটা?  যখন  পৃথিবীর কাজ ফুরোলে ছেড়ে চলে যায়, তার  শতাব্দীর ভাগ করা জীবন এবং ভালবাসা ভরা মানুষগুলোকে মাটি আর আকাশ আর বাতাসের কাছে গুছিয়ে রেখে; এক আলোকিত ইথারে যেন বিদায় জানায়, ফিসফিসিয়ে কি বলে ? কোথায় যাচ্ছ ?  আমাদের বিশ্বাস যাই হোক না কেন, মনের এই অনুভূতিপ্রবণ দোলাচলে যখন বস্তুগত পূর্বাবস্থার মুহূর্তরা কাছে চলে আসতে থাকে- moment of material যাকে বলতে থাকি আমরা,  মানে তখন আরও কিছুক্ষন সময় মুঠোয় আছে যখন , ঠিক যে ক্ষণে মানবজীবন তার ভস্মজীবনের দোরের কাছে এসে দাঁড়ায়, তখন আমরা - আমরা কিছুক্ষনের, কিছুসময়ের এবং  পদার্থ দিয়ে তৈরী  প্রাণী আমরা, আমরা creature of moment and matters কিংবা anti matters - আমাদের ভিতরে চিন্তা এবং অনুভূতির মহাবিশ্বের মতো দুর্দান্ত কিছু কীভাবে যে শূন্যতায় বিলুপ্ত হতে পারে তা বোঝা যায় না। কিভাবে যে একটা n

চা- বাণিজ্য নীতি-:কিভাবে চা ছড়িয়ে পড়ল ভারতবর্ষে/ Tea-Trade Policy: How Britishers created Tea market in India

চা- বাণিজ্য নীতি-:কিভাবে চা ছড়িয়ে পড়ল ভারতবর্ষে/ Tea-Trade Policy: How Britishers created Tea market in India  ঠিক কিভাবে ব্রিটিশরা ভারতবর্ষে চায়ের প্রসার এবং প্রচার করেছিল? কি কি বাণিজ্যিক কৌশল ব্যবহার করেছিল তারা?  ব্রিটিশরা ভারতীয় রেলপথকে ব্যবহার করেছিল চায়ের বাণিজ্যিক প্রসার এবং প্রচারের জন্য, বিনামূল্যে দেওয়া হ'ত চা খাবার কাপ, মহিলারাই ছিলেন প্রধানতম লক্ষ্য উপভোক্তা বা টার্গেট কাস্টমার  (target customer) - টেস্ট ওফ টাইম এর ‘Taste of Time’ এর লেখক মোহনা কাঞ্জিলাল লিখেছেন যে ব্রিটিশদের আসার আগে ভারতে চা  পান করা হতো না সেভাবে।  চীনের সাথে আফিম যুদ্ধ বা Opium Wars এর পরে আজ,  ভারত চীনের পরে বিশ্বের বৃহত্তম চা উৎপাদনকারী দেশ। এবং এর জন্য  ব্রিটিশদের এক গুরুত্ত্বপূর্ন ভূমিকা ছিল। ব্রিটিশরা শুধু আসাম এবং দার্জিলিংয়ে চা বাগান চালু করেনি বরং ভারতের উত্তর -পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণে অন্যান্য অঞ্চলে চা উৎপাদন শুরু করেছিল। ব্রিটিশদের মধ্যে ভারতীয় চায়ের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এই শিল্পের ক্রমাগত সম্প্রসারণকে উৎসাহিত করেছিল।চা গাছ লাগানো সংখ্যায় বাড়ছিল।  এই প্রসঙ্গে অরূপ কে চ্যাটার