সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সিলভিয়া প্লাথ :এক অন্ধকার নিয়ে বেঁচে থাকার নাম / Sylvia Plath on Living with the Darkness

x এক গভীরতর অন্ধকার নিয়ে বেঁচে থাকা আর হালকা আলোর সুড়ঙ্গে শিল্পের আবছায়া দেখতে থাকা, যদি মাথার মধ্যে সেই বারবার করে উত্তেজিত করে চলা অংশগুলিকে বন্ধ করতে পারি এবং চলে যেতে পারি সেই সময়কালকে পেরিয়ে, সাহসের সঙ্গে পেরিয়ে যেতে পারি সেই সময়কে, তখন মুখোমুখি হতে হবে এক গভীর দর্শনের। সিলভিয়া প্লাথ : Image Courtesy : Wikimedia Common  বাইশ বছর বয়সী সিলভিয়া প্লাথ (২৭ অক্টোবর, ১৯৩২ - ফেব্রুয়ারী ১১, ১৯৬৩) তার মাকে  লিখছেন, এক শীতের ওমে মোড়া জানুয়ারি মাস, লিখছেন সিলভিয়া, তারা উভয়েই এক অন্ধকারের মধ্যে বিরাজ করছেন, আত্মার শুদ্ধতার এক অপরিসীম অন্ধকার। অন্ধকার আরও তীক্ষ্ণতর হচ্ছে। প্রবেশ করছেন তারা সেই অন্ধকারে। তার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছেন তারা দুজনেই। যেন পৃথিবীর জন্ম হয়নি তখনও, যেন তার আগের এক সূক্ষ্ম আলোর সন্ধান করছেন তারা। যেন সূক্ষ্ম আলোর রেখার থেকে যাবার কথা ছিল। বিজ্ঞান কেবলমাত্র সেই মাধ্যম,  যার টুল বা সরঞ্জামগুলির একে অপরের সাথে একত্রিত হতে  শুরু করেছিল আমাদের ইতিহাসের প্রেক্ষাপট তৈরী করবার জন্য।  যার সাহায্যে আমরা কী, আমরা কে, বা আমরা কিভাবে এসেছি পৃথিবীতে, কি ই বা আমরা আর ক

সাহিত্যিক এমিলি ডিকিনসনের চিঠিপত্র : একান্ত ভালোবাসা - সুসান গিলবার্ট/ Emily Dickinson’s Love Letters to Susan Gilbert

  এমিলির প্রেম, তাঁর কবিতার মতোই পবিত্র  সুন্দর। তাঁর একমাত্র প্রেম, তার কবিতার মতোই বহমান।  " আমাদের হৃদয়ের মধ্যে যে  গির্জা আছে, আজ সকালে আমার সঙ্গে সেখানে এস, যেখানে ঘণ্টা সবসময় বাজতে থাকে, এবং সেখানে একজনই প্রচারক থাকেন - যার নাম প্রেম - তিনি আমাদের জন্য সুপারিশ করবেন!" এমিলি তার ভালোবাসাকে খুঁজে পেয়েছেন , তাই তো তার জন্য তৈরী হয়েছে হাজার হাজার কবিতা।  এমিলি ডিকিনসন  ( ডিসেম্বর ১০,   ১৮৩০ -  মে ১৫ ১৮৮৬ )  দেখা পেয়েছেন তার পরম আকাঙ্খিত প্রাণের মানুষের। কুড়ি বছরে পা দিতে আর মাত্র চার মাস  বাকি। এই কি তবে জন্মদিনের শ্রেষ্ঠ উপহার ? জীবনের  থেকে শ্রেষ্ঠ উপহার ?    তার কুড়ি বছরের  জন্মদিনের চার মাস আগে, এমিলি  সেই ব্যক্তির সাক্ষাৎ পাবেন, যিনি হয়ে উঠবেন তাঁর  প্রথম প্রেম, তাঁর  মতে তাঁর জীবনের সর্বকালের সেরা নারী - সুসান গিলবার্ট- এক  অনাথ  প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গণিতবিদ, পুরো নয় দিনের  ছোট, কবির পুরো জীবন জুড়ে -পুরো হৃদয় জুড়ে আবাস; সুসান তাঁর জীবনীশক্তির আভাস, তাঁর পরামর্শদাতা, তাঁর লেখার  প্রাথমিক পাঠক এবং সম্পাদক, তাঁর জীবনকালের প্রবল সংযুক্তি, তাঁর মতে -বিশ্বের একমাত্র নারী। 

বাণিজ্য নগরী মুম্বাই, সুয়েজ খাল এবং দেহ -ব্যবসা / Suez Canal, transformation of Mumbai and its Sex Trade

বাণিজ্য নগরী মুম্বাই, সুয়েজ খাল এবং দেহ -ব্যবসা / Suez Canal, transformation of Mumbai and its Sex Trade বাণিজ্য বিস্তার হচ্ছে, নাগরিক সভ্যতা ছড়িয়ে পড়ছে বন্দর-শহর তথা ভারতবর্ষের এই দামি বাণিজ্য নগরীটিতে। এর সঙ্গে সমান্তরালে পতিতালয়গুলি তৈরী হতে শুরু করে,পূর্ব ইউরোপীয় মহিলারাই সামলাতেন তা। সুয়েজ খাল এবং বোম্বাই নগরী , কি ভাবে সম্পর্কযুক্ত ?  ১৮৬৯  সালের ২৭ নভেম্বর,  দুর্ঘটনাটি ঘটে  মিশরে সুয়েজ খাল উদ্বোধনের ঠিক দশ দিন পরে,  মালপত্র  বোঝাই হয়ে  ভারতে আসছিল যে  জাহাজটি সেটি  লোহিত সাগরে ডুবে যায়।   শোক প্রকাশ  করেছিল  বোম্বাই গার্ডিয়ান । সাথে জানিয়েছিল যে, জাহাজটি আসছিল বোর্দো  থেকে, জাহাজের নাম  নোয়েল। সংবাদপত্রে উল্লিখিত, "বার্কটি সুয়েজ খালের মধ্যে  দিয়ে আসছিল ...গন্তব্য ছিল বোম্বাই, আর সঙ্গে নিয়ে আসছিল প্রচুর ওয়াইন" ।   অবশ্য, তাতে অন্যান্য জাহাজের  যাত্রাপথে কোনো  বাধার সৃষ্টি হয়নি। হয়নি কোনো অসুবিধাও। এই সুয়েজ খালের অল্প একটু ভূমিকা দেওয়া প্রয়োজন।  সুয়েজ খাল  ভূমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সাথে সংযুক্ত করেছে; সুয়েজ খালের উন্মুক্তকরণ এক  বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছিল

তরু দত্ত: সাহিত্যের খোঁজ ও বিন্যাস / Life Of Toru Dutta

আমার বিশেষ আগ্রহের বিষয়বস্তু তরু দত্ত। প্রথম ভারতীয় মহিলা সাহিত্যিক যিনি ইংরেজি এবং ফরাসি  ভাষায় সাহিত্য রচনা করেন।  তরু দত্তের সাহিত্য এবং জীবন , এই আমার লেখার বিষয়।  কয়েকটি  পর্বে  লিখব  লেখিকার  জীবনী।   Image Courtesy: wikipedia.org        এই কাহিনী শুরু হয়েছে  গত শতকের ভারতবর্ষে, যে ভারতবর্ষের পটভূমিতে  দিগ্বিজয়ের ইতিহাস গাঁথা থাকে। এমনই এক সময়ের গল্প এটি। গল্প নামের এই  সত্যি কাহিনী সেই শতকের  যে শতকে মহিলাদের জন্য ঘর-সংসারের ইচ্ছাহীন জীবন বেছে  দেওয়া হ'তো, ঠিক সেই সময়, সেই স্থির সময়ের বৈপরীত্য - চলমান সময়দাঁড়িয়ে  প্রকৃতপক্ষে ইতিহাসের এক সুবর্ন লগ্নে সাহিত্যের এক উদ্বেল সূচনা হয়েছিল। "moving-contrasts" এর ভিতরে আর এক ধরণের বৈপরীত্য কাজ করত, এই বৈপরীত্যের ভিতরে একটা গল্প সোজাসুজি চলতে থাকে, আর আর একটা গল্প চলতে থাকে  উল্টোপথে। ভারতীয় সমাজ সংস্কৃতিতে তখন শুরু হয়ে গেছে কাহিনীকে গেঁথে নেবার ছাপ।   আমাদের বিষয়  ভারতের মহিলা সাহিত্যিকদের  মধ্যে বিদেশী           ভাষায় লেখালেখি। ইংরেজিতে লেখালেখি শুরু হয়েছিল কেবলমাত্র     উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে, আর তা শুরু করবার পুরোভাগে

নিজের সঙ্গে একা : এমিলি ডিকিনসন / Emily Dickinson : Women Liking Their Own Company

নিজের সঙ্গে থাকতে  চাওয়া কি একান্তই অপরাধ? সব সময় কি  লোকজন সংসর্গে থাকতেই হবে ?  কোনোভাবেই থাকা যায় না কি একা ? একদম একা, নিজের সঙ্গে একা ? "… আমি আমার বাবার জমি ডিঙিয়ে  কোনও বাড়ি বা শহরে যেতে পারি না," এমিলি ডিকিনসন লিখছেন তাঁর চিঠিতে, আর এই চিঠি লেখা হয়েছে লেখক, অবলিশনিস্ট  ও সৈনিক  কর্নেল থমাস ওয়েন্টওয়ার্থ  হিগিনসনকে।  একটি চিঠির  জবাবে তাঁকে এরকমটা লিখেছিলেন এমিলি।  তাঁকে হিগিনসন তিনবার বোস্টনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য, বিভিন্ন সাহিত্য বক্তৃতাগুলিতে অংশগ্রহণ করা এবং  অন্যান্য কবিদের সাথে সাহিত্যের আলোচনার জন্য সাক্ষাৎ। হিগিনসনের সঙ্গে এমিলি যোগাযোগ রাখতেন নিয়মিতই, তিনি ছিলেন বহির্জগতের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম, যার সাথে তিনি তাঁর কবিতাও ভাগ করে নিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও তিনি তাঁর আমন্ত্রণগুলি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, এমনকি অন্য সমসাময়িক কবিদের সাথে দেখাও করতে চাননি। এমিলি ডিকিনসন Image Courtesy : wikipedia.org  সমস্ত মহিলারা নাকি  বিপজ্জনক! আমরা  যদি  বেশিরভাগ ট্রাডিশনাল টেক্সটগুলিতে একটু চোখ বোলাই তাহলেই  একথার সত্যতা যাচাই করা হয়ে যায়। বিশেষত যদি অনুসরণ করি পুরুষদের

‘সাহিত্যের অগ্রগতি আসলে একটি জাতির আরোহণ’ - মুন্সী প্রেমচাঁদ/ ‘The ascent of literature is the ascent of a nation’- Munsi Premchand

হিন্দি সাহিত্যে মুন্সী প্রেমচাঁদ এক অবিস্মরণীয় নাম।  সাহিত্য রূপ বিশ্লেষণে  কি ভেবেছেন তিনি ? কিভাবেই বা তিনি দেখতেন  সাহিত্যকে  ?  মুন্সী প্রেমচাঁদ: image courtesy: wekipedia.org জীবনই হ'ল সেই ভিত্তি যার উপরে সাহিত্য নির্মিত হয়, সাহিত্যের প্রতিটি রূপ স্থাপিত হয়। একটি বিল্ডিংয়ের মিনার, গম্বুজ এবং হলঘরগুলি দৃশ্যমান হয় কিন্তু এর ভিত্তিভূমি অদৃশ্য রয়ে যায়। জীবন ঈশ্বরের সৃষ্ট, এবং তা সীমাহীন এবং অনিবার্য, তা অনির্বচনীয়। সাহিত্য মানবের দ্বারা সৃষ্ট, তাই তা বোঝা এবং উপলব্ধি করা সহজ। ঈশ্বরের কাছে জীবন দায়বদ্ধ কিনা তা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি না, তবে সাহিত্য অবশ্যই মানুষের কাছে জবাবদিহি দাবি করে। সাহিত্যের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে যা আমরা অগ্রাহ্য করতে পারি না। একজন মানুষ জীবনের গোলকধাঁধায় আনন্দের সন্ধানে নিজেকে নিমজ্জিত করে। কিছু মানুষ ধনরত্নের মধ্যে আনন্দ খুঁজে নেবার চেষ্টা করে, কেউ সুখী পরিবারে, কেউ বড় বড় অট্টালিকায়, কেউ বা বিলাসিতায় আনন্দ খুঁজতে থাকে অবিরাম। ভাল সাহিত্য পড়ার আনন্দ এই আনন্দগুলির চেয়ে বৃহত্তর এবং এই আনন্দগুলির অপেক্ষা অনেক বেশি শুদ্ধ, কারণ এর ভিত্তি সৌন্দর্য এ