সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

বাণিজ্য বসতে লক্ষ্মী/ The Business And It's Strategy

ব্লু - ওশান স্ট্র্যাটেজি কি / What is Blue Ocean Strategy আজকে আলোচনা করবো অন্য্ একটা বিষয় নিয়ে , আমি এতদিন যে যে বিষয় নিয়ে লিখেছি তার থেকে এই বিষয়টি আলাদা। আমার আজকের বিষয় মার্কেটিং এবং এই ক্ষেত্রে ব্যবহৃত একটি স্ট্রাটেজি যার নাম ব্লু ওশান স্ট্রাটেজি। এই স্ট্রাটেজি মূলত প্রয়োগ করা হয় মার্কেটিংয়ে; অর্থাৎ কোনো জিনিস বিক্রি করতে গেলে সব কোম্পানিকেই  একটা  নির্দিষ্ট  স্ট্রাটেজি অথবা কৌশল অবলম্বন  করতে হয়, ব্লু ওশান স্ট্রাটেজি তেমনই একটা কৌশল।  একটু উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করি। মনে করা যাক, সাঁতার কেটে  সমুদ্র পার হবার  একটি প্রতিযোগিতা চলছে যেখানে সমস্ত প্রতিযোগীদের  লক্ষ্য হলো   সমুদ্রের অপর পারে পৌঁছনো।  প্রতিযোগীর সংখ্যা প্রচুর।  আর প্রত্যেকেই  একে  অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রত্যেকেরই যোগ্যতা সমান।  কোনো একজন বিশেষ প্রতিযোগী যে  এই প্রতিযোগিতায় জিতবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।  সুতরাং সমতুল্য এই প্রতিযোগীদের মধ্যে কোনো একজনকে  এই  প্রতিযোগিতায় জিততে গেলে কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করতে হবে। প্রথমত, এখানে কোনো একজন প্রতিযোগীর শুধুমাত্র নিজের সাঁতারে মনোযোগ দিলেই চলবে না। আরেকটা জিনিসও তাকে  লক্ষ্য

বাংলা ছোটগল্প - ছোটগল্প সিরিজ / Bengali Short Story

একটি দিন ''দাদু, ও দাদু, সৈন্য কি গো?''- একটু চমকে উঠলো তামলিং।  হাতের কাজটা থামিয়ে  তুয়াংলিংয়ের দিকে  তাকালো  মুখ তুলে  ।  '' এই কথা কোথা থেকে জানলে দিদিভাই?'' '' ওই তো, বাজারে গেছিলাম আজকে , সেখানেই তো সবাই বলাবলি করছিলো, সৈন্যরা নাকি আজকে মাঙ্গোগিরির নেতা শিশিমারাকে ধরে নিয়ে গেছে।   মাঙ্গোগিরি   কি গো দাদু, আর নেতা মানে কি ? ওই শিশিমারা সে কে গো ?''  এত  প্রশ্নের সামনে প'রে তামলিং এর মুখে  জোগায় না  কথা  ।   বাড়ির সামনে বসে গাছগুলোকে পরিচর্যা করছে বুড়ো তামিলিং। তারপর করবে বাগানের পরিচর্যা। সবজি বাগানে বুড়ো তামলিং সবজি ফলায়।  সারা বছরের পরিবারের খাবারের জন্য সবজি এখন  থেকেই আসে যে । পরিবার বলতে বুড়ো তামলিং, তার বৌ বুড়ি তুয়ানকে এবং দুটো নাতি নাতনি  তুয়াংলিং আর শিনবোনা। আরো দুজন ছিল এই পরিবারে, যাদের কথা ভাবতে গেলে.... '' ও দাদু, কি গো চুপ করে রয়েছো কোনো ?'' বুড়ো তামলিং  তাকালো  উদাস চোখ তুলে , সামনে দাঁড়িয়ে তুয়াংলিং ,চোখে কৌতূহল।  '' যা জানতে চাইছো দিদিভাই, সে কথা বলতে গেলে অনেক গল্প বলতে

বাংলা অণুগল্প- অনুগল্প সিরিজ /Bengali Story

অসীম আর মাধবীলতা অসীম.....এই যে এই দিকে, মাধবীলতা আবার ডাক দিলো,....... হ্যাঁ একদম ঠিক যাচ্ছ,......আমার হাতটা লক্ষ্য করে আস্তে আস্তে এগিয়ে এস, না না ওদিকে নয়.......ওদিকে কাঁটার ঝোপ......গায়ে ফুটে গেলে কেলেঙ্কারির একশেষ.....মাধবীলতা আর ভরসা রাখতে পারলো না, নিজেই এগিয়ে গিয়ে অসীমের হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে হাঁটতে লাগলো। অসীমের জামাকাপড় ভিজে জবজব করছে। একজায়গায় থামলো তারা, বেশ নির্জন, একটা বাড়ির ভিতরে ঢুকে এল। একটু পুরোনো বাড়ি কিন্তু বসবাসের যোগ্য। মাথাটা মুছে নাও, বেশ ভিজেছ, ঠান্ডা ব'সে গেলে জ্বর আসতে পারে....মাধবীলতা হাতের মুঠো ছেড়ে দিয়ে একটা গামছা এগিয়ে দিল। .অসীম গামছাটা নিয়ে সামনে খোলা জানালার বাইরের পুকুরটার দিকে তাকিয়ে রইল একদৃষ্টে। মাধবীলতার শাড়ির আঁচলের একটা অংশ একটু দেখা যাচ্ছে। ওদিকটায় বোধহয় কাঁটাঝোপ ছিল. কালকের মধ্যে দুটো লাশ ই ভেসে উঠবে আশা করা যায় । -------------------------------------------- ছ'য়ে ছটাক : অনুগল্প ১. জানালাটার গ্রিলের মধ্যে দিয়ে নিজের চার হাত পা বের করে দিল সে, এবার শেকল দিয়ে বাঁধার কাজ শুরু হবে। ২.আমার পেনের কালিটা ধীরে ধীরে শেষ

পৃথিবীর কুখ্যাত হত্যাকাণ্ড - হত্যাকাণ্ড সিরিজ- পর্ব ১ / Famous Murder Mystries In The World- Part 1

হেলেন জুয়েট হত্যাকাণ্ড/ Helen Jewett Murder Case  ১৮৩৬ সালের ১০ এপ্রিল। অনেকক্ষন থেকেই ঠকঠক করছে  রোজিনা- রোজিনা টনসেন্ড, এই কিন্তু দরজা খোলার নাম নেই, হ'লটা  কি? মনের মধ্যে হাজার এক খানা প্রশ্ন,  একবার একটু জোরে ধাক্কা দিল রোজিনা, আরে দরজাতো খোলাই আছে! কিন্তু এই রাত  তিনটের সময় দরজা এভাবে খোলাই বা রাখা আছে কেন? আস্তে আস্তে রোজিনা ঘরে ঢুকে এলো, উফঃ এত ধোঁয়া কোথা  থেকে এলো? ঘরটা পুরো ধোঁয়ায় ভরে গেছে, চোখ মুখ জ্বলছে তার, আস্তে আস্তে চোখ রগড়ে সামনে তাকাতে চেষ্টা করলো রোজিনা। কিন্তু জুয়েট গেলো কোথায়? এত রাতে বাইরে বেরোলো নাকি? আরো একটু সামনে এগিয়ে গেলো রোজিনা, কেউ একজন পরে আছে-  একি , একি  দেখছে সে! জুয়েট পরে আছে কেন  এভাবে?  রোজিনা আঁতকে উঠল। সত্যই জুয়েট পরে আছে, মাথার কাছে চাপ চাপ রক্ত জমাট বেঁধে আছে। জুয়েট কি নেই? উনিশ শতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া  এক হত্যাকাণ্ড -হেলেন জুয়েট হত্যাকান্ড। ১৮৩৬ সালে নিউ ইয়র্ক শহরে হেলেন জুয়েট নামের একজন নারী যৌনকর্মী নৃশংসভাবে খুন হয় ।  জুয়েটের মৃতদেহ তার ঘরেই তার বিছানায় পাওয়া গিয়েছিল। মাথায় ছিল ধারালো অস্ত্রের জখম এবং তিনটি জখমই ছিল