সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সাহিত্য লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

যে স্মৃতি বয়ে যায় অসীমে : এমিলি ডিকিনসন ও তার স্মৃতিকথা / Drift to Loss - Emily Dickinson

এমিলি ডিকিনসন। মার্কিন এই কবির লেখা চিঠিতে পাই মৃত্যু নিয়ে অনেক কথা । আমেরিকান কবি মেগান  ও’রউর্ক    তার মাকে হারানোর  স্মৃতিতে লিখেছেন , “আমরা যাদের ভালোবাসি তারা যেন  আমাদের শরীরের  অংশ হয়ে রয়ে যায়, আমাদের সিনাপসেস এর  মতো করেই জুড়ে রাখে , যে পথে, যে স্মরণীতে  স্মৃতি তৈরি হতে থাকে। ”  মায়ের মৃত্যুর পর এমনিই কিছু অনুভবের কথা জানিয়েছেন  আরও একজন কবি  প্রায় এক শতাব্দী আগে। বয়ান পাই তার মায়ের পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে।  বিরল এক  দার্শনিক চেতনার প্রতিফলন থেকে যায় সেই মরমিয়া গদ্যে।  এমিলি ডিকিনসন; Image Courtesy : wikipedia.org   এমিলি ডিকিনসনের  (ডিসেম্বর ১০, ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দ - মে ১৫, ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দ ) মা যখন মারা যান , তখন তার বয়স বাহান্ন।  তার  আট বছর আগে একটা   স্ট্রোকে দীর্ঘদিন  শয্যাশায়ী ছিলেন   এমিলির মা  ।  পক্ষাঘাতগ্রস্থ।  প্রায় পুরোপুরি অক্ষম হয়ে  গিয়েছিলেন তিনি । আজীবন শারীরিক অসুস্থতা তাকে  করে তুলেছিল  তিতিবিরক্ত   ।  ভুগতে থাকা  শরীর -তার সঙ্গে-মনকেও বিপর্যস্ত করেছিল। নিজের জীবন ঘিরে চরম  অনাগ্রহ,  হতাশা আর বিসদৃশ রকমের বিরক্তি।   কিন্তু এসব  সত্ত্বেও  তাঁর কন্যার প্

সাহিত্যিক তরু দত্ত : ১৬৪ বছর পরে ফিরে দেখা / Taru Dutta : Indian Author's Poetry Celebrated after 164 years

প্রথম ফরাসি এবং ইংরেজি সাহিত্য রচনা করেছিলেন তিনি। বিস্তৃতির অতল থেকে ফিরে  দেখা তরু দত্তকে।  তরু দত্ত: Image Courtesy : wikipedia.org   সাহিত্যের  ইতিহাসের  পৃষ্ঠা সরিয়ে একটু অতীতের দিকে ঘুরে তাকানোর  ইচ্ছে হয়েছে। আর সেই অতীতে আছেন সাহিত্যিক তরু দত্তের  কথা ।  না, আধুনিক সাহিত্য জগৎ  খুব বেশি  নাম শোনেনি তাঁর ।  আজ থেকে প্রায় ১৬৪ বছর আগে তরু দত্ত তার ২১ বছরের ছোট্ট জীবনে ইংরেজি এবং ফরাসি সাহিত্যে যে চিহ্ন  রেখে গেছেন তা অবিস্মরণীয় ।  এই বছর ছিল তরু দত্তের ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী। কিন্তু উনিশ শতকের সাহিত্যের জগতের দিকপালদের ভিড়ে  তরু দত্ত এবং তার  লেখনী যেন একপ্রকার হারিয়েই গেলো ! ওনার অসাধারণ লেখারগুলির সাহিত্যমূল্য যদি  বিচার করতে বসি তাহলে  যেটা মনে রাখতে হবে তা হলো তিনি শুধু একজন মহিলা সাহিত্যিকই ছিলেন না , ইংরেজি এবং ফরাসি এই দুই ভাষাতেই  ছিল ওনার অগাধ পান্ডিত্য এবং অবাধ যাতায়াত, সেই সময়কার সাহিত্যিকদের মধ্যে যা ছিল দুর্লভ - তারপরে তিনি যদি হন মহিলা সাহিত্যিক। আমাদের মনে  রাখতে হবে ইংরেজি এবং ফরাসি  সাহিত্যের অঙ্গনে  তখন প্রকাশিত হয়ে চলেছে অসংখ্য মাস্টারপিস।   কবি হয়ে ওঠার প্রেক

একটি প্রেমের গল্প : অমৃতা প্রীতম এবং সাহির লুধিয়ানভি / The love story of Amrita Pritam and Sahir Ludhianvi

প্রেমের গল্প। প্রেম ভাঙার গল্প। পাত্র-পাত্রী সাহির লুধিয়ানভি এবং অমৃতা প্রীতম। দিকপাল দুই সাহিত্যিক। কেমন ছিল সেই সম্পর্ক ? ''আমি তো জানতাম সাহির, তোমার কোনোদিনই আমার প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষার কোনো দায় ছিল না । কি যেন বলে আজকাল ! ও হ্যাঁ , কমিটমেন্ট ফোবিয়া।  ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবে কি না সেই দ্বিধাতেই তো রয়ে গেলে। কেন  যেন মনে হয় আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা  সেই গভীরতর  অতলান্ত  স্পর্শ করে নি কোনোদিন। ছুঁয়ে দেখেনি সেই ভালোবাসার তীব্র টানকে। আচ্ছা সত্যি করে বলো তো, তুমি কি সত্যি আমাকে ভালোবেসেছ  ? যতটা আমি তোমাকে বেসেছি।  "ম্যায়নে টুট  কে প্যায়ার কিয়া তুম সে / ক্যায়া  তুমনে ভী উতনা কিয়া মুঝ সে?'' অমৃতা প্রীতম এবং সাহির লুধিয়ানভি : Image Courtesy : Indian Express  ' ''মোহাব্বত কি পরখ  কা  ইয়েহি  তো রাস্তা  হ্যায় / তেরি  তালাশ মে নিকলু, তুঝে  না  পায়ু  ম্যায় '' । অমৃতা ভালোবাসা খুঁজেছেন, সেই আকুল করা ভালোবাসা,  হৃদয় তন্ত্রীতে সেই তীব্র ঝড় তোলা ভালোবাসা তাকেই তো খুঁজেছেন অমৃতা। পেয়েছেন কি ? খুঁজবো আমরা।  উপরের লাইনদুটি মজহা

আমি হয়তো আবার পাগল হয়ে যাবো- ভার্জিনিয়া উলফের আত্মহত্যা-একটি ট্রাজেডি: The Tragic Tale Of Virginia Wolf's Suicide

  সব আত্মহত্যাই কি আসলে একটা পরিকল্পিত খুন, নাকি স্ব-ইচ্ছায় পালিয়ে যাওয়া? না ফুরোনো স্বপ্ন নিয়ে চলে যেতে হয় না ফেরার দেশে, কিন্তু ভার্জিনিয়া উলফা কেন আত্মহত্যা করে বসলেন? কোন আলো মাখানো জীবনের স্বপ্ন পূরণ করতে চেয়েছিলেন তিনি !     বসন্তের একটা দিন, হালকা শীত যেন লুকোচুরি খেলছে, যাই-যাই শীত আর গরমে কাবু হবার দিনগুলির মাঝে হালকা বাতাসের শিরশিরানি অনুভব করা যায়।  সকাল বেলার রোদ্দুর ছুঁয়ে যাচ্ছে চতুর্দিক। সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত,  ছেলে বুড়ো সবাই বেরিয়েছে প্রাতঃভ্রমনে,  কেউ বা ব্যস্ত সংসারের খুঁটিনাটি দেখভালে, আবার কারো রয়েছে কাজে যাবার তারা। কিন্তু একজনের কাছে যেন এই পুরো পৃথিবীর আর কিছুই ভালো লাগছে না, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে তার,  লেখা হয়ে গেছে একটা নোট। ওসে নদীর দিকে ধীর পায়ে হাঁটছেন তিনি, কোটের পকেটে ভর্তি করেছেন প্রচুর পাথর, এই পথটা বোধহয় একাই  চলতে হয়, না, কেউ নেই সঙ্গে, কেউ নয়। এই পথ দিয়ে শুধু গন্তব্যে চলেছেন তিনি, যে গন্তব্য থেকে আর ফেরা হবে না, কোনোদিনও নয়, কখনও নয়, কারো কাছেই নয়, মনস্থির করে ফেলেছেন তিনি। কেন করলেন তিনি এটা, কেন নিতে হল এমন সিদ্ধান্ত! ভার্জিনিয়া